সিঙ্গুর ইসু্যতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মানস ভুঁইঞা

কলকাতা, ১ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : সিঙ্গুর ইসু্যতে সুপ্রিম কোর্টের রায় চাষিদের পক্ষে যাওয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের MANASসর্বশ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী বলেও আখ্যা দেন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইঞা| বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মানস ভুঁইঞা|
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছে, সিঙ্গুরে বাম সরকারের জমি অধিগ্রহণ অবৈধ ছিল| এরপরই খুশিতে মেতে ওঠে সিঙ্গুর| কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রীও| কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, এই রায় শুধু তৃণমূলের জয় নয়, কংগ্রেসেরও জয়| কারণ, সিঙ্গুর ইসু্যতে কংগ্রেস, তৃণমূলের পাশেই ছিল| আর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মানস ভুঁইঞার মুখ থেকে শোনা গেল মমতাস্তুতি| তিনি বলেন, বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা নয়, সমালোচনার জন্য সমালোচনা নয়, বরং বিরোধিতা ছেড়ে কংগ্রেসের পরিষদীয় দল ও প্রদেশ কংগ্রেসের উচিত মুখ্যমন্ত্রীর দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করে জাতীয় কংগ্রেসের ঐতিহাসিক অবস্থান মূল্যায়ন করা|
তিনি আরোও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আমি মনে করি, তিনি দেশের সবথেকে ভালো মুখ্যমন্ত্রী| আগামীদিনের রাজনীতিতে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন| বিভেদমূলক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই, গণতন্ত্রের মূল্যায়ন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করছি| এদিকে, কংগ্রেস কর্মীদের দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে মানসবাবু বলেন, রাতে যখন বাড়ি যাই, বুকে ব্যথা করে| শুতে যাই যখন দুচোখ দিয়ে জল পড়ে| সকালে উঠে খবর দেখলে মাথায় আগুন বের হয়| সেইসঙ্গে ফের একবার তিনি অধীর চৌধুরী ও আবদুল মান্নানকে আক্রমণ করেন| বলেন, কংগ্রেসের দুই মহান নেতা, একজন অধীর চৌধুরী, ১৯৯১ সালে বাম রাজনীতি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন| আর একজন আবদুল মান্নান, যিনি ১০ বছর পর বিধানসভার মুখ দেখেছেন| তাঁদের একটাই কাজ, মানস ভুঁইঞাকে বেইজ্জত করা, দল থেকে তাড়ানো| দলীয় সংগঠন কী হবে, কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে, এসব ভাবনা তাঁদের মাথাতেই নেই|