আগরতলা, ১৫ জুন: হোসনা বেগম চার ব্যক্তি দ্বারা শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় প্রতিবাদে পানিসাগর মহকুমার পেকুছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ থানা ঘেরাও করে পানিসাগর থানায় ডেপুটেশন দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত চারজনকে অতিসত্বর পুলিশ গ্রেপ্তার করতে হবে না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, জমি এবং গবাদি পশু নিয়ে হোসনা বেগমেট সাথে রফিক উদ্দিন শামসুদ্দিন ইসলাম উদ্দিন এবং জালালুদ্দিনের একটা বিবাদ চলছিল। ১১ জুন সাড়ে চারটায় তাঁরা হোসনা বেগমকে ছাগল নিয়ে যাওয়ার সময় প্রচন্ড মারধর করে এবং শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। কখন হোসনা বেগমের চিৎকারে তার স্বামী আব্দুল সুফিন তাকে বাঁচাতে আসে। চার অভিযুক্ত তার স্বামীকেও মারধর করে। এদিকে ঘটনার দিন হোসনা বেগম থানাতে আসার আগেই তাদের নামে পানিসাগর থানায় অভিযুক্তরা একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলাকে ভিত্তি করে পানিসাগর থানার পুলিশ হোসনা বেগম এবং তার স্বামী আব্দুল সুফীনকে বাড়িতে যাওয়ার আগেই তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা যায়, আব্দুল সুফীন ধর্মনগর কোর্টে পাঠালে জামিনে ছাড়া পায়। পানিসাগর থানায় তাদের অভিযোগ নিয়ে গেলে পানিসাগর থানা এই অভিযোগ রাখতে অস্বীকার জানায়। পরবর্তী সময় হোসনা বেগম এবং তার স্বামী অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করে।
আজ অর্থাৎ শনিবার পানিসাগর মহকুমার পেকুছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ সঠিক বিচার চেয়ে পানিসাগর থানা ঘেরাও করে। তারা জানায়, গ্রামের নয়জনের প্রতিনিধি দল অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে বিচারের জন্য তারা প্রতিনিধি দলকে অপমান করে পাঠিয়ে দেয় এবং বলে গ্রামবাসী পুলিশ প্রশাসন মন্ডল এমনকি বিধায়কসহ সর্বত্র তাদের পকেটে। শনিবার গ্রামবাসীরা পানিসাগর থানায় তাদের অভিযোগ নিয়ে ঘেরাও করে। এই চারজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা সরব হয়।
তারা জানায় এই অভিযুক্তদের মধ্যে যে ইসলাম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি রয়েছেন উনি বালির ব্যবসার সাথে জড়িত এবং চার অভিযুক্তের টাকা-পয়সা বেশি থাকায় গ্রামে যা ইচ্ছে তাই করে বেড়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। কেন প্রায় দুই শতাধিক গ্রামবাসীর কথা বিশ্বাস করা হলো না তা নিয়ে অভিযোগে ফেটে পড়ে গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি অতি সত্য এই চার অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করতে হবে না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলে জানায়। এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় প্রচুর গ্রামবাসী তাদের আবেদনে সারা দিয়ে আসে এবং তিন অভিযুক্তির বিরুদ্ধে অতিসত্বর আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পানিসাগর থানায় পুলিশের কাছে এক লিখিত ডেপুটেশন দেয়। এদিকে জানা যায় পানিসাগর থানা কোর্টের কপি আসবে তার জন্য অপেক্ষা করে আছে তারপর ব্যবস্থা নেবে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পানিসাগর থানা নাকি চার অভিযুক্তের টাকা পয়সার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। তাই গ্রামবাসীদের কথা কে কোন পাত্তাই দিতে রাজি নয় পানিসাগর থানা। পরিস্থিতি থমথমে মানুষ পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠেছে।

