BRAKING NEWS

ভোটের পর তৃণমূলকে মানুষ ভুলে যাবে- দিলীপ ঘোষ

বর্ধমান, ১৮ মে (হি. স.) : “২০১৯ লোকসভার আগে ব্রিগেডে অনেক দলের নেতাদের ডেকে সভা করেছিল মমতা ব্যানার্জী। তারপর সেসব অনেক দলই উঠে গেছে। সিপিএম পশ্চিমবঙ্গে শূন্য হয়ে গেছে। তৃণমূলের এক ডজন সিট কমেছিল, এবার আরও এক ডজন কমবে। দিল্লীতে তৃণমূল দলকে ভুলে গেছে। ভোটের পর পশ্চিমবঙ্গের মানুষও তৃণমূলকে ভুলে যাবে।” শনিবার বর্ধমানের কাঁটাপুকুরে চা-চক্র থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীকে এভাবে কটাক্ষ করলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে ইতিমধ্যে চতুর্থ দফা ভোট হয়েছে। কয়েকদিন পরই পঞ্চম দফার ভোট। তার মধ্যেই বুথ ফেরত সমীক্ষা শুরু হয়েছে। চা’য়ের দোকান থেকে পাড়ার আড্ডা, চর্চা এখন একটাই মোদী চার’শ পাবে! বঙ্গে বিজেপির ক’টা সিট পাবে, তারও হিসাব শুরু হয়েছে। তারমধ্যেই প্রচারের শেষ লগ্নে তৃণমূল নেত্রীর হাওয়ায় চটির ফিতে কেটে গেছে। সেটা আবার সেফটিপিন দিয়ে আটকে রাখছেন মমতা ব্যানার্জী। আর সেটাকে আবারও ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করতে শুরু করেছে সোশাল মিডিয়ায়।

যদিও এদিন, দিলীপ ঘোষ বলেন,” এসবই নাটক। উনি কখনও বলেন জুতা নাই, কখনও বলেন গাড়ি নাই, বাড়ি নাই। এবার হয়তো বলেন, ভোটার নাই। এতদিন এসব নাটক করে মানুষের সহানুভুতিকে কাজে লাগিয়ে ভোটে জিতেছেন। মানুষ এখন দেখছে, তাদের কাছে সব কেড়ে নিল। অথচ তৃণমূলের সবই আছে।” শশী পাঞ্জা এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার হারছেন। তার পাল্টা জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন,” তৃণমূল ক’টা সিট পাবে সেটা ভাবুক। সারা দেশে একটাই আলোচনা মোদীর চার’শ সিট হবে কি না। দিল্লীতে তৃণমূল পার্টিটাকে ভুলে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের পর মানুষ তৃণমূলকে ভুলে যাবে।” বসিরহাটে সিবিআই তদন্তের স্বার্থে শিবির করেছে। সেপ্রসঙ্গে তিনি বলেন,” এতদিন একতরফা ভোট হয়েছে। শাজাহান যা বলত, সেটাই হত। ভোট লুট হত। এখন শাজাহানের ভাইয়েরা চমকাচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে। পুলিশ মহিলাদের চুলের মুঠি ধরে গাড়ীতে তুলছে। আর তাই মহিলারা এখন রাত পাহারা দিচ্ছে। ভোটের দিন দেখবেন, তৃণমূলকে খুঁজে পাবেন না। বিজেপি ওখানে ভালো লিড পাবে।” মুর্শীদাবাদে শিক্ষা দুর্নীতির জেরে, সেখানের ডিআই বাম জামানায় শিক্ষক নিয়োগের তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন। সেপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,” কবে থেকে লুট শুরু হয়েছে, কারা চাকরি পেয়েছে। সেটা তদন্ত হওয়া উচিত। বাম আমলেও দুর্নীতি হয়েছে। তখন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি স্কুলের উন্নয়নের নামে ২-৩ লাখ টাকা নিত। ম্যানেজিং কমিটি ইন্টারভিউ নিত, তারাই সিদ্ধান্ত নিত।” উলুবেড়িয়ায় জাতীয় সড়কের পাশে অভিষকে ও মমতা ব্যানার্জীকে খুনের পোস্টারে বিস্তর শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও সেপ্রসঙ্গে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন,”নিজেরাই পোস্টার লাগিয়ে খবর তৈরি করছেন। দলের লোকেরা খবরই রাখে না পিসি ভাইপো কোথায় যাচ্ছে। জনগনও তাদের ভাষন শুনতে যায় না। দলের লোকেদের দ্বন্দ্ব থামাতে থামাতে ভোট শেষ হয়ে যাবে।” হাসনাবাদে তৃণমূল নেতা হুমকি দিয়ে বলেছেন,” ৪ জুনের পর কেন্দ্রীয়বাহিনী থাকবে না। তৃণমূল থাকবে। তখন কে কোথায় থাকবে দেখা যাবে। তার ওই বক্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,” পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে থাকবে না অন্য কোথাও থাকবেন সেটা ঠিক করুক। ভোটে মানুষ ঝামা ঘষে দিয়েছে। বসিরহাটে মহিলারা বুঝিয়ে দিয়েছে, তৃণমূলের দিন শেষ।” এদিন মমতা ব্যানার্জীর ইন্ডি জোটের নেতৃত্ব দেওয়াকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,” উনি যদি জনপ্রিয় নেত্রী, তাহলে ২-১ টা রাজ্যে সভা করতে যেতে পারতেন। কেউ ডাকছেন না। কেন ডাকছেন না?” তিনি বলেন,”

২০১৯ লোকসভার আগে ব্রিগেডে অনেক দলের নেতাদের ডেকে সভা করেছিল মমতা ব্যানার্জী। তারপর সেসব অনেক দলই উঠে গেছে। লালুপ্রসাদের ছেলে কোথায়? অখিলেশ কোথায়? উদ্ভব ঠাকরে কোথায়? সিপিএম পশ্চিমবঙ্গে শুন্য হয়ে গেছে। উনি যেখানে যাবেন, সেখানে সেই দল শুকিয়ে যাবে। উনি যার মাথায় দিয়েছেন হাত, তারাই খেয়েছেন জেলের ভাত।” সন্দেশখালি মামলা আদালতে জোর ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। সেপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,” ৪ জুনের পর আরও বড় ধাক্কা খাবে তৃণমূল।”:সবে শেষ রাজ্যে তৃণমূল ক’টা আসন পাবে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন,” তৃণমূল মার্কেটে নেই। ২০১৯ সালে এক ডজন সিট কমেছিল, এবার আরও এক ডজন কমবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *