পেট্রোল-ডিজেলের সংকট, বিদ্যুতের সমস্যা, সিপিএমের নিশানায় বিদ্ধ ত্রিপুরা সরকার

আগরতলা, ১১ মে : প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে রাজ্য সরকারের অগ্রিম ব্যবস্থাপনা থাকে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়, সামান্য ঝড়বৃষ্টিতে রাজ্যে পেট্রোল-ডিজেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের সমস্যাও সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরায় ট্রিপল ইঞ্জিন সরকার ক্ষমতায় থাকার পর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।  আজ সংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী। তাঁর কটাক্ষ, রাজ্যে অরাজক পরিস্থিতি সত্বেও মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে ভোট প্রচারে গিয়েছেন।

তাঁর কথায়, সামান্য ঝড়বৃষ্টিতে রাজ্যে পেট্রোল-ডিজেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তাতে পাম্পগুলিতে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে। বাইক স্কুটি পিছু ২০০ লিটার পেট্রোল পেতে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা লাইন দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাইন দাঁড়িয়ে থেকেও পেট্রোল-ডিজেল পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে লাইন দাঁড়িয়ে থাকা যুবকরা উত্তেজিত হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করছে। বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে আরক্ষা বাহিনীর লাঠিচার্জ করতে হচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল হয়ে উঠছে, বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

এদিন শ্রী চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর খরা ও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। জনজীবন স্বাভাবিক করতে আগাম ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়। তাঁর কটাক্ষ, ত্রিপুরায় অচল অবস্থা নিয়ে ট্রিপল ইঞ্জিন সরকারের কোনো নজর নেই। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের ভোট প্রচারে সবাই ব্যস্ত।

এদিন তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদীর মতে উত্তরপূর্বাঞ্চলে অনেক উন্নতি হয়েছে। উত্তরপূর্বাঞ্চলকে হীরা মডেল দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সামান্য ঝড়বৃষ্টির ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে ত্রিপুরায় জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। তারই প্রতিবাদে আগামী ১৩ মে থাকে ১৮ মে পর্যন্ত একসপ্তাহ ব্যাপী রাজ্যের প্রত্যেক মহকুমাতে বিক্ষোভ আন্দোলন করা হবে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে শহরে এবং গ্রামে রেগার কাজের বকেয়া মজুরি প্রদান করার দাবি জানিয়েছেন শ্রী চৌধুরী।