পুলিশের ভূমিকাকে ‘হিংস্র নেকড়ে’-র সঙ্গে তুলনা শুভেন্দুর

কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি, (হি.স.): সোমবার দুপুরে চিড়িয়ার মোড়ে ‘পুলিশি অত্যাচারের’ ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের ভূমিকাকে ‘হিংস্র নেকড়ে’-র সঙ্গে তুলনা করছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খুঁজে খুঁজে, বেছে বেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পেটানো হয়েছে।’

বিজেপির মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কার্যত তীব্র মারমুখী দেখা গিয়েছে। ইটবৃষ্টি, জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠি থেকে শুরু করে পুলিশের চড়-থাপ্পড়, লাথি… একপ্রকার খণ্ডযুদ্ধের চেহারা নিয়েছিল ব্যারাকপুর।

লোকসভা ভোটের মুখে সোমবার বঙ্গ বিজেপির এক কর্মসূচির যৌথভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বারাকপুরের ওই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সুকান্তবাবু। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার পর আহত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গেই থাকেন সুকান্ত। ফলে তিনি শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে যৌথ কর্মসূচিতে থাকতে পারেননি।

এদিন, বিকেলে বঙ্গ বিজেপির কর্মসূচির ওই আনুষ্ঠানিক প্রকাশের সময় সুকান্তবাবুর না থাকার কারণ জানালেন শুভেন্দুবাবু। তখনই একই সঙ্গে কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন পুলিশের।

পুলিশের ভূমিকায় বিরক্ত শুভেন্দুবাবুর দাবি, বারাকপুরে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে বিজেপির কর্মসূচি ছিল। বললেন, ‘এই কর্মসূচিতে যা যা ঘটেছে, তা ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন। ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। ৬ জনকে বারাকপুর হাসপাতাল থেকে কল্যাণী এইমসে স্থানান্তর করা হচ্ছে।’

তাঁর দাবি, কোনও প্ররোচনা ছাড়াই হিংস্র নেকড়ের মতো পুলিশ শুধু জলকামান ব্যবহার করেই ক্ষান্ত হয়নি। জলকামানের পরে আমাদের কর্মী-সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, তখন এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খুঁজে খুঁজে, বেছে বেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পেটানো হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *