শিলং, ১৬ জানুয়ারি (হি.স.) : মেঘালয় আজ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, খেলাধুলা, শিক্ষা, উদ্যোগ, কৃষি বা অন্য যে কোনও ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে মেঘালয়। আজ মঙ্গলবার মাওফ্লাং-এ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
আজ তুরায় আয়োজিত এক সভামঞ্চ থেকে ভাৰ্চুয়ালি আপগ্রেডেড রোংজেং মাংসাং অ্যাডোকগ্রে রোড এবং মাইরাং রানিগোডাউন আজরা রোডের উদ্বোধনের পাশাপাশি নতুন সমন্বিত প্রশাসনিক কমপ্লেক্স, মাওলিনগোট এবং কুডেনগ্রিমের মনোরম গ্রামগুলিতে শিলং পিক রোপওয়ে, পর্যটকদের জন্য আবাসনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মেঘালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সম্ভাবনাময় পর্যটন বৃদ্ধির প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে টেনে এনেছেন। তিনি বনে, রাজ্যে মজবুত পর্যটন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রচারের লক্ষ্যে আজ কংথং, মাওলিনগোট এবং কুডেনগ্রিমের মনোরম গ্রামগুলির জন্য শিলং পিক রোপওয়ে ও পর্যটকদের জন্য আবাসনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এতে লাভবান হবেন রাজ্যবাসী
অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন রাজ্যপাল ফাগু চৌহান এবং মুখ্যমন্ত্ৰী কনরাড কে সাংমা। মেঘালয়ে আগমনের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর সফরকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন রাজ্যপাল। চৌহান বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সারা দেশ এবং উপজাতিভুক্ত মহিলাদের কাছে অনুপ্রেরণা। তিনি বলেন, রাজ্যের মহিলারা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে গেছে। মেঘালয়ের মহিলারা সমাজে বিশেষ সুবিধা ভোগ করেন এবং তাঁরা জীবনের সকল ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন, বলেন রাজ্যপাল। তিনি মেঘালয়ের পাশাপাশি গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ মনোযোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি জানেন, মেঘালয় একটি অনন্য মাতৃতান্ত্রিক সমাজে গড়া। মহিলারা ঐতিহাসিকভাবে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখার জন্য তাদের পুরুষ সহযোগীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। তিনি আরও বলেন, সমবেত প্রায় ১০-এর কাছাকাছি মহিলা রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী আন্দোলনে অসামান্য অবদান রেখেছেন।’