বারইগ্রাম (অসম), ৮ জানুয়ারি (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলার অন্তৰ্গত বারইগ্রামে রেল লাইনের পাশে জনৈক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বান্দরকোণা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ঝড়ায়ালা এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বারইগ্রাম ফাঁড়ি এবং পাথারকান্দি থানার পুলিশ।
উদ্ধারকৃত মৃত যুবককে স্থানীয় শেরপুরের বাসিন্দা তজমুল হুসেন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তজমুলের পরিবার সহ স্থানীয়দের সন্দেহ, কোনও দুষ্কৃতী তাকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য রেল লাইনের পাশে ফেলে গেছে।
আজ সোমবার সকালে বারইগ্ৰাম-দুল্লভছড়া রেল লাইনের পাশে মুখ বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। মৃত যুবকটি পেশায় রাজমিস্ত্রির সহযোগী ছিলেন। নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি বাড়িতে এসেছিলেন। গতকাল রবিবার বিকালে ফের ডিমাপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তজমুলের মৃতদেহ যে জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে তার পাশেই বৈদ্যেনাথপুর গ্রাম। ওই গ্রামে তজমুলের শ্বশুর বাড়ি।
এ ঘটনায় মৃতের পরিবারের ধারণা, গত প্রায় একমাস ধরে তজমুলের সাথে তার শ্বশুর বাড়ির লোকদের ঝগড়া চলছিল। এমন-কি তার স্ত্রী-সন্তানরা শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে থানায় মামলাও হয়। ফলে তার মৃত্যুর পিছনে শ্বশুর বাড়ির লোকদের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তজমুলের পরিবারের সদস্যরা।
তাঁরা জানান, ডিমাপুরে যাওয়ার আগে শ্বশুর বাড়িতে উঠেছিল তজমুল। আজ সকালে মৃতদেহটির মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় ঝড়ায়ালা এলাকায় রেল লাইনের পাশে। মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন সহ পাশে একটি হ্যান্ড ব্যাাগও উদ্ধার হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে জেলা সদর করিমগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রতাপ দাস এবং রেল পুলিশের ওসি হেমন্ত বরুয়া সহ পাথারকান্দি থানা থেকে পুলিশের দল গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।