কলকাতা, ৫ জানুয়ারি (হি.স.) : শুক্রবার সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ওই তাণ্ডবে এদিন আহত হয়েছেন একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্ত আধিকারিক। ভাঙচুর হয়েছে তাঁদের এবং সংবাদমাধ্যমের একাধিক গাড়ি।
এই সঙ্গে সন্দেশখালি নিয়ে কড়া বিবৃতি দিয়ে এদিন ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল বলেন,”প্রাক নির্বাচনী হিংসা এখান থেকেই শুরু হল, এবং এখানেই এটা শেষ হয়ে যাওয়া উচিত। সমাজে অশান্তি হলে, তার দায় সরকারের। সরকারের উচিত চোখ খুলে দেখা।”
তাঁর কথা “সন্দেশখালির ঘটনা খুব অ্যালার্মিং। সরকারের কর্তব্য গণতন্ত্রে ভাঙচুর ও হিংসা আটকানো। সরকার যদি তার কর্তব্য করতে ভুলে যায় তাহলে ভারতীয় সংবিধান তার মতো পদক্ষেপ করবে। সংবিধান রাজ্যপালকে ক্ষমতা দিয়েছে। জঙ্গলরাজ গুন্ডারাজ এখানে কায়েম করতে দেব না।”
রাজ্যপাল তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন, “সরকারকে তার কর্তব্য করতে হবে। যারা নিজেদের ডন মনে করছেন তারা কিছুদিন বাদেই দেখতে পাবেন কী হয়। নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে এই হিংসা শেষ করতে হবে। সরকারকে তার চোখ খুলতে হবে। এর ফলাফলের দায়িত্ব রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে। সব সময় সবাইকে বোকা বানানো যায় না। হিংসা ও সংঘর্ষ বাংলায় বন্ধ করবই।”
বাংলার সাংবিধানিক প্রধান বলেছেন, “একটি সভ্য সমাজের সরকারের দায়িত্ব এই বর্বরতা ও অশান্তি বন্ধ করা। যদি সরকার নিজের মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে নিশ্চয়ই সংবিধান মোতাবেক ব্যবস্থা হবে। রাজ্যপাল হিসেবে আমি আমার সবরকম সাংবিধানিক বিকল্প মাথায় রাখছি। সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলার মানুষের সঙ্গে জঙ্গলরাজ করা যাবে না। বাংলা কোনও ব্যানানা রিপাবলিক নয়।”
গোটা ঘটনা সম্পর্কে জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেকে চিঠি দিচ্ছেন রাজ্যপাল, এমনটাই রাজভবন সূত্রে খবর।