কলকাতা, ২১ আগস্ট (হি স)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নকে মামলায় যুক্ত করতে হবে। সোমবার যাদবপুর নিয়ে একটি মামলায় এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এদিন আদালতে বলেন, “দুঃখের বিষয় হল র্যাগিং এখন সারা ভারতের অনেক প্রতিষ্ঠানের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এটা এখন সামাজিক যোগাযোগের বাইরে চলে গিয়েছে। আমি মনে করি, এটা একটি উদ্দীপনা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়ারা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা পুলিশ ঢুকতে বাধা দিচ্ছে, তা এজি-র কাছে জানতে চায় আদালত। এজি জানান, পড়ুয়ারাই বাধা দিচ্ছেন।
আদালত নির্দেশে জানায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয় কি কোনও নিয়মাবলী তৈরি করতে পারে না প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য? তবে একই সঙ্গে আদালত জানায়, এক রাতে সব বদলে যায় না। ‘যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট’-এ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যে একাধিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেগুলি মানা হয়েছে কি না, কিংবা কোনও অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ আনা হয়েছে কি না, তা জানতে চায় আদালত। দু’সপ্তাহ পর আবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি করা হয়। এই মামলায় মূলত তিনটি আবেদন জানানো হয়েছিল। এক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-র নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে, সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। দুই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। তিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র তৈরি করতে হবে এবং বাইরে থেকে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে নাম নথিভুক্ত করে ঢুকতে হবে।
গত সোমবারই যাদবপুরকাণ্ডের সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র্যাগিংয়ের বিষয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় আদালত।