আগরতলা, ১৯ আগস্ট।। অবশেষে সক্রিয় হল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী আসামিদের জামিনদার হয়ে ফেসে গেলেন সরকারি কর্মচারী বিষ্ণু সরকার। প্রায় ৬ মাস পূর্বে ১০ জন রোহিঙ্গা আসামির জামিনদার হয়েছিলেন বিষ্ণু সরকার। আসামির পরিচিত হিসেবে জামিনদার হিসেবে দাড়িয়েছিলেন সরকারি কর্মচারী বিষ্ণু সরকার। কিন্তু ১০ জন আসামী এখনো আদালতে হাজির না হওয়াতে সরকারি কর্মচারী বিষ্ণু সরকারের বিরুদ্ধে ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে হাজিরার নোটিশ জারি হয় । বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ভারত বর্ষে প্রবেশে আটকে দিতে ব্যর্থ গোয়েন্দা বিভাগ পুলিশ ও বিএসএফ।তদাপি দালালদের মারফৎ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতবর্ষে প্রবেশ করছে। সদর জেলা ও দায়রা কোর্টের জামিনদার বিষ্ণু সরকারকে ক্রাইম ব্রাঞ্চ গত শুক্রবার ডেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসামিদের সাথে তার কি সম্পর্ক । তাদের কিভাবেই বা চিনে সে। তাদের সাথে কতো টাকার লেনদেন হয়েছে। যতটুকু খবর ক্রাইম ব্রাঞ্চের কোন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি জামিনদার বিষ্ণু সরকার। ক্রাইম ব্রাঞ্চও নড়েচড়ে বসেছে এর পেছনে মাষ্টারমাইন্ড কারা? সুত্রের খবর ১০ জন রোহিঙ্গার বিষ্ণু সরকার জামিনদার হওয়ার পেছনে মূল হোতা বর্ডার গোলচক্করের সদরের জেলা ও দায়রা কোর্টের বাটপার এক মুহুরী। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ গোলচক্করের মুহুরী কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে গিয়ে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী আসামিদের কাপড়চোপড় থেকে শুরু করে টাকার বন্দোবস্তও করে দেন।। তাছাড়া উক্ত মুহুরী রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের জামিন করিয়ে মটর স্ট্যান্ড রাধানগর রেল স্টেশনের ফ্যামাস হোটেলে আটকে রেখে অনৈতিক ভাবে দালালদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে দিল্লি জম্মু কাশ্মীর হায়দ্রাবাদ চেন্নাই ব্যাঙ্গালোরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন। বর্ডার গোলচক্করের মুহুরী কে বিগত কয়েক বছর পূর্বে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের সহযোগী হিসেবে নাম আসার কারনে ক্রাইম ব্রাঞ্চ একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে আদালত চত্বরের খবর। তাছাড়া বর্ডার গোলচক্করের মুহুরী সদরের জেলা ও দায়রা আদালতের নিজেকে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের একমাত্র ভরসা পাত্র মুহুরী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দিয়ে থাকেন। উক্ত মুহুরীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরা বার এসোসিয়েশনে প্রতারণার বহু অভিযোগ লিপিবদ্ধ রয়েছে বলেও খবর। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা যোদ্ধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও বর্ডার গোলচক্করের সংখ্যালঘু মুহুরীর কল্যানে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি যেন হাওড়ার নদীতে ভেসে যাচ্ছে।। তবে মুখ্যমন্ত্রী অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে যোদ্ধ ঘোষণা করলেও একাংশ মুহুরীদের কল্যানে তা বেস্তে যাচ্ছে। অভিযোগ বর্ডার গোলচক্করের মুহুরী রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের চেইনের সাথে সরাসরি জড়িত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে বলে সৎ মুহুরীদের অভিযোগ।