বিশালগড়ের নবীনগর এলাকায় গত তিন মাস ধরে জল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সমাধান না পেয়ে রাস্তা অবরোধে সামিল হয় এলাকাবাসীরা। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের আশ্বাসে অবরোধ মুক্ত হয় রাস্তা।
বেশ কয়েক বছর ধরেই ওই এলাকায় পাইপ লাইনে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছিল। পাইপ লাইনে সরবরাহ করা পানীয় জলের উপর নির্ভর করেই এলাকার মানুষজন পানীয় জল এবং অন্যান্য জলের চাহিদা মেটাতেন। নতুন করে জল উত্তোলক প্রকল্প স্থাপনের নাম করে পুরাতন পাইপলাইন সেখান থেকে তুলে নেওয়া হয়। অথচ এখনো ওই এলাকায় নতুন উত্তোলক প্রকল্প চালু হয়নি। নতুন প্রকল্প চালু না করেই পুরাতন পাইপলাইন তুলে নেওয়ায় ওই এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। তাতে জটিল সমস্যার সম্মুখীন হন এলাকার জনগণ। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ট্যাঙ্কারে পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য এলাকাবাসীর তরফ থেকে বহুবার স্থানীয় নেতা এবং দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু কে শুনে কার কথা? শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই নবীনগর এলাকার জনগণ বৃহস্পতিবার এলাকায় পথ অবরোধে শামিল হন। বেলা এগারোটা থেকে তারা পথ অবরোধ আন্দোলন শুরু করেন। অবরোধের ফলে যানবাহন চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। তাতে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবরোধস্থলে ছুটে আসেন। তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমস্যা সম্পর্কে কথা বলে আন্দোলন প্রত্যাহার করার চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ট্যাঙ্কারে জল সরবরাহ করার সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না পেলে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে তারা আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পানীয় জল সরবরাহ করা না হলে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান দীর্ঘদিন ধরে পাইপ লাইনে জল সরবরাহ করার ফলে এলাকার বাড়ি করে টিউবয়েল কিংবা পানীয় জলের বিকল্প কোন উৎস নেই। স্বাভাবিক কারণেই পাইপ লাইনে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন।