কাঞ্চনপুরে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ জুলাই৷৷ উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমার গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে৷ একের পর এক দুর্নীতি পিছু ছাড়ছে না কাঞ্চনপুর গ্রামোন্নয়ন দপ্তরকে৷ দিনের পর দিন নতুন নতুন কেলেঙ্কারির প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে৷যে ভাবে দুর্নীতির খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে কাঞ্চনপুর মহকুমা গ্রামোন্নয়ন দপ্তরটি লুটপাট  বানিজ্য এবং  নয়ছয়ের আতুর ঘরে হয়ে ওঠছে বলে অভিযোগ৷   দেখা যাচ্ছে যে কোনো উন্নয়ন মূলক  কাজ যেমন রাস্তা বা ড্রেইন হোক বা দালানবাড়ীর  কাজের বরাদ্দ,  তথ্যসমেত বোর্ড টাঙ্গিয়ে রাখার নির্দেশ থাকলেও কাঞ্চনপুর আর ডি দপ্তরে তা কার্যকর করা হয় না৷ অভিযোগ দীর্ঘ দিন যাবত কাঞ্চনপুর আর ডি দপ্তরের কাজেই  জনসাধারণের অবগতির জন্য কোন কাজের ক্ষেত্রেই ডিসপ্লে বোর্ডই লাগানো হচ্ছে না৷ অভিযোগ ওঠেছে কাজের তথ্য  গোপন করার জন্যই সাইন বোর্ড দেওয়া হচ্ছে না৷  
দপ্তরের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ উঠেছে  কোন ট্রেন্ডার বা কুটেশনের মাধ্যমে যেসব বা ভেন্ডার থেকে কাঞ্চনপুর গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের বিভিন্ন  সামগ্রী কেনার নামে ভুয়াও বিলে লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে৷ সাধারণ জনগণের অভিযোগ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন   কাজেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার  করা হচ্ছে৷আর এসব হচ্ছে দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের জ্ঞাতসারেই৷ দেখা যাচ্ছে প্রতি অর্থ বছরেই  কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন মুলক কাজ হচ্ছে কাঞ্চনপুর গ্রামোন্নয়ন ডিভিশনে তত্ত্বাবধানে৷  দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ নির্মিয়মান কাজগুলির গুনগত মান খুবই নিম্নমানের হচ্ছে বলে প্রায়ই অভিযোগ আসছে৷ পাশাপাশি অভিযোগ যে সমস্ত কাজ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারকে ইমপ্লিমেনটিং  অফিসার করে  কাজ হচ্ছে সে  সব কাজ কার্যত লোপাট বানিজ্য হচ্ছে৷ আর এসমস্থ প্রক্রিয়ার মধ্যেই গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের উপরের মাথা থেকে নিচ পযর্ন জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ৷ দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ কাজেই ঘোটালার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷ স্থানীয় জনগণের অভিযোগ ২০২০ – ২০২১ আর্থিক বর্ষে ভান্ডারীমা ব্রীজ থেকে পুষ্পরামপাড়া বি এস এফ ক্যাম্প পযর্ন কাঞ্চনপুর গ্রামোন্নয়ন দপ্তর থেকেই  সলিং রাস্তা এবং পাকা ড্রেন করা হয়েছিল৷আর এই কাজটি করা হয় এক জন ইঞ্জিনিয়ারকে ইমপ্লিমেনটিং অফিসার বানিয়ে৷ এই কাজটি প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়৷ অথচ দেখা যাচ্ছে মাত্র দেড় বৎসর  যেতেই ঐ কাজের অস্থিত্ব নেই৷কোথাও সলিং রাস্তার ইটের বর্তমানে অস্তিত্ব খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ একই ভাবে অভিযোগ
  চিপস এবং সিসি ব্লক দিয়ে যেসব রাস্তার কাজ হচ্ছে সেগুলি অত্যন্ত নিম্নমানের৷ পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল  মেটেলিয়ালস  গুনগতমান বজায় রেখে ব্যাবহারের কথা সেগুলি  তাও মান হয় না৷ ফলে এই সুযোগে কাজের সুপারভিশন করা হয় না৷যার সুযোগে  কাজ করছে  ইমপ্লিমেনটিং অফিসার থেকে বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *