– উচ্চমাধ্যমিকে যথাক্ৰমে ৬০ এবং ৭৫ শতাংশ প্ৰাপ্ত ছাত্ৰী ও ছাত্ৰকে স্কুটি
– রাজ্যের ছয় জনগোষ্ঠীর জন্য অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগেও আসন সংরক্ষণ
গুয়াহাটি, ৫ জুলাই (হি.স.) : অসমে আরও ৭ লক্ষ সুবিধাভোগীকে অরুণোদয় প্রকল্পের টাকা, বছরে আড়াই থেকে চার লক্ষ টাকা উপাৰ্জনকারীদের বিনামূল্যের চাল ও স্বাস্থ্য বিমা, উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রীরা ৬০ এবং ৭৫ শতাংশ প্ৰাপ্ত ছাত্ৰদের স্কুটি সহ কয়েকটি সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য ক্যাবিনেট।
আজ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মার পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে এছাড়া আরও কয়েকটি গুরুত্বপূৰ্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ক্যাবিনেট বৈঠকের পর আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলির নির্যাস তুলে ধরেছেন দুই মন্ত্ৰী জয়ন্তমল্ল বরায়া এবং বিমল বরা।
দুই মন্ত্ৰী জানান, রাজ্য সরকার অসমে নতুন আরও সাত লক্ষ সুবিধাভোগী চয়ন করে প্ৰতি মাসে ১,২৫০ টাকা করে অরুণোদয় প্ৰকল্পের টাকা প্ৰদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ নির্বাচিত সুবিধাভোগী প্ৰত্যেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা হয়ে যাবে।
এছাড়া ২০২৫ নতুবা ২০২৭ সালে অসমে জাতীয়স্তরের ক্ৰীড়া অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে অসম সরকার ইতিমধ্যে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থাকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ প্রাপ্ত ছাত্রী এবং ৭৫ শতাংশ প্রাপ্ত ছাত্রদের রাজ্য সরকার একটি করে স্কুটি দেওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে ক্যাবিনেটে। তাছাড়া এ বছর অসমের নবম শ্ৰেণির ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ছাত্ৰছাত্ৰীকে বাই-সাইকেল দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
আরও সিদ্ধান্তের তথ্য দিয়ে দুই মন্ত্রী জানান, রাজ্যের ছয় জনগোষ্ঠীর জন্য অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আসন সংরক্ষণ থাকবে। অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পেশাদার কোর্সে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) / আরও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (এমওবিসি)-র জন্য আসন সংরক্ষণের হার ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৭ শতাংশ করা হয়েছে৷
তাঁরা আরও জানান, ওবিসি / এমওবিসি-র জন্য আসন সংরক্ষণ সম্প্রদায় অনুসারে করা হয়েছে। যেমন, চা উপজাতি, মোরান, মটক, তাই-আহোম, চুটিয়া এবং কোচ-রাজবংশীদের জন্য ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই নিয়ম চালু হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগেও থাকবে ছয় জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত আসন।
এভাবে রাষ্ট্ৰীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে চাল সরবরাহের ক্ষেত্ৰেও নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে অনুাযায়ী বছরে আড়াই লক্ষের বদলে এখন থেকে চার (৪) লক্ষ টাকা উপাৰ্জনকারীরা বিনামূল্যের চাল এবং স্বাস্থ্য বিমা পাবেন। নয়া সুবিধাভোগীরা পাবেন এই সুবিধা। এমএসএমই-এর ক্ষেত্ৰে একজন উদ্যোগীকে একটি শিল্প-প্রতিষ্ঠান খুলতে বহু অনুমতিপত্ৰের প্ৰয়োজন ছিল। এখন ওই বাধা আর থাকবে না। কেবলমাত্ৰ ফায়ার এবং পাওয়ার, এই দুই অনুমতিপত্ৰ নিয়ে শিল্প-প্রতিষ্ঠান খোলাব যাবে। শিল্প-প্রতিষ্ঠান খোলার পরও ওই দুই অনুমতিপত্র সংগ্রহ করা যাবে, জানান দুই মন্ত্ৰী জয়ন্তমল্ল বরায়া এবং বিমল বরা।