নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ এপ্রিল৷৷ নারী নির্যাতন, নারী ধর্ষণের স্বর্ণ রাজ্য, মডেল রাজ্য ত্রিপুরায় বাংলা নববর্ষের দিনেই ধর্ষিতা হল এক ৯ বছরের উপজাতি মূক বধির নাবালিকা৷ ঘটনা বিলোনিয়া থানাধীন রতনপুরের ধনকুমার পাড়ায়৷ অভিযুক্ত এলাকারই যুবক জুমিধন ত্রিপুরা৷ অভিযোগ পেয়েই বিলোনিয়া মহিলা থানা গ্রেপ্তার করল অভিযুক্তকে৷ প্রত্যক্ষদর্শী নাবালিকার ভাই এবং বাবা জানান সকাল দশটা নাগাদ আম কুড়াতে বাড়ির পাশে ফল বাগানে যায়৷ এমন সময় জুমিধন জোর পূর্বক পাশের জঙ্গলে নিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে৷ বোনের চিৎকারে ভাই ছুটে গেলে নিজেই ঘটনা দেখে ফেলে এবং সম্পূর্ণ ঘটনা বাড়িতে জানায়৷ সাথে সাথে মামলা করা হয়৷ অভিযুক্তের শাস্তি চায় নাবালিকার পরিবার৷
পণের খাই না মেটায় ও পরপর দুই কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে শ্বশুর বাড়ির নির্মম অত্যাচারের শিকার হল এক গৃহবধূ৷ গর্ত করে জ্যান্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ৷ নববর্ষের দিনের এই নির্মম অত্যাচার সইতে না পেরে শুক্রবার যাত্রাপুর থানায় মামলা করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ অনিতা আইচ৷ ঘটনা সোনামুড়া মহকুমার যাত্রাপুর থানাধীন থলিবাড়ি এডিসি ভিলেজের পালপাড়া এলাকায়৷
গত প্রায় ৮ বছর আগে সামাজিক ভাবেই বিয়ে হয়েছিল কাকড়াবন এলাকার পেশায় বিড়ি শ্রমিক বাবুল দাসের মেয়ে অনিতার৷ বিয়ের সময় নগদ ৪৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, টিভি ফার্নিচার বরপক্ষের যাবতীয় খাই মিটিয়েই মেয়েকে বিয়ে দেন দরিদ্র বিড়ি শ্রমিক৷ কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের দুমাস যেতে না যেতেই আরো পণের দাবিতে শুরু হয়ে যায় স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকদের অনিতার ওপর অকথ্য অত্যাচার৷ থলি বাড়ির পালপাড়া এলাকার স্বামী রিঙ্কু আইচ, শ্বশুর হারাধন আইচ, শ্বাশুড়ি প্রতীমা আইচ, ও দুই ভাসুর টিঙ্কু ও শঙ্কু মিলে গৃহবধূ অনিতার ওপর কয়েকদিন পরপরই শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে৷ সাত বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে নির্যাতিতা গৃহবধূর৷ গত আড়াই বছর আগে আরো একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হলে নির্যাতন আরো বেড়ে যায় বলে অভিযোগ৷ বৃহস্পতিবার বাংলা নববর্ষের দিন অত্যাচার চরম আকার ধারণ করে৷ স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দুই ভাসুর মিলে অনিতাকে প্রচন্ডভাবে মারধর করার পর জ্যান্ত কবর দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ৷ কবর থেকে উঠে পাশের বাড়ির অর্চনা পাল নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে গিয়ে কোনো ক্রমে প্রাণ রক্ষা করে গৃহবধূ অনিতা৷
গৃহবধূটির ওপর সংগঠিত অত্যাচারের বর্ণনা দিয়েছেন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা অর্চনা পালও৷ তিনি জানিয়েছেন, স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকদের এ ধরনের অত্যাচার থেকে বিরত রাখতে মাঝে একবার পঞ্চায়েতে শালিশি সভাও হয়েছিল৷ এধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার লিখিত প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা৷ কিন্তু কদিন যেতে না যেতেই আবার যে কে সেই৷ গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে যাত্রাপুর থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ৷ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল৷
2016-04-16

