তৃণমূলের পুলিশ ও রাজনৈতিক ছত্রছায়াকে তোপ অর্জুন সিংহর


উত্তর ২৪ পরগনা, ২৫ মে (হি স)। বারাকপুর গুলিকাণ্ডে এখনও অধরা দুষ্কৃতী। পুলিশের ভূমিকা নিয়েই বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তুললেন খোদ বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। পুলিশের নজরদারির অভাবে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলেই দাবি। তাঁর কটাক্ষ, “৪০ কেজির ভুঁড়ি নিয়ে কী করবে?” ’রাজনৈতিক ছত্রছায়াতেই অপরাধীরা থাকে’ বলেও প্রকাশ্যে দাবি করেছেন তিনি।

বুধবার সন্ধ্যায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় চলে গুলি। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় মালিকের ছেলে নীলাদ্রির। গুলি লাগে তাঁর বাবার পায়েও। এই ঘটনার পর মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান অর্জুন সিং। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর দাবি, “বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারের কাছে সব খবর পৌঁছয় না। নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের কখনও কখনও আঁতাঁত তৈরি হয়। তাতেই হয়তো এই ঘটনা ঘটেছে। টিটাগড়ে মাঠে পুলিশ গেলে লোক চলে যাচ্ছে। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ তো ফিল্টার। পুলিশকে ফিল্টার করে দেখতে হবে। কেন ফিল্টার না করে কাজ করবে পুলিশেরা?”

অর্জুন সিং স্পষ্ট বলেন, ‘‘টিটাগড় থানার ভূমিকা ঠিক নেই।’’ পুলিশের ভূমিকায় দলের ক্ষতি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সাংসদ বলেন, ‘‘এলাকার সাংসদ হিসেবে আমি খুব দুঃখিত। অপরাধ ঘটে যাচ্ছে আর অপরাধী মুক্তভাবে বিচরণ করছে। আমরা জেনেশুনেও কিছু করতে পারছি না। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’’

অর্জুনবাবু বলেন, “অপরাধীদের সরাতে হবে। জেলে ভরতে হবে। নইলে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে।” এখন আর আগের মতো পুলিশ এলাকার খোঁজখবর তাঁর থেকে নেন না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন অর্জুন সিং।

পুলিশের ওপর কি প্রভাব খাটান রাজনৈতিক নেতারা? অস্বীকার করেননি অর্জুনবাবু। তিনি বলেন, “রাজনীতির হাত বরাবরই থাকে। সিপিএম আমলেও ছিল। এখন আমরা আছি, এখনও আছে।“ সেই সঙ্গে অর্জুনবাবু বলেন, “রাজনৈতিক ছত্রছায়াতেই অপরাধীরা থাকে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় না থাকলে তো পুলিশ ধরে ফেলত। অবশ্যই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকে।“