আগরতলা, ১৭ মার্চ (হি. স.) : তিপরা মথার ১৩ জন নবনির্বাচিত বিধায়ক আজ শপথ নিয়েছেন। প্রোটেম স্পিকার বিনয় ভূষণ দাস তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন। তাঁরা সকলেই ককবরক ভাষায় শপথ বাক্য পাঠ করেছেন। শপথ গ্রহণ শেষে তিপরা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, হিন্দু বাঙালি ভোট বিজেপির পক্ষে গেছে। সিপিএম ও কংগ্রেস সংখ্যালঘুদের ভোট পেয়েছে। জনজাতি অংশের অধিকাংশ ভোট তিপরা মথা পেয়েছে।
তাঁর কথায়, ভোট সমীক্ষায় স্পষ্ট হয়েছে, ভোটারদের রায় তিনভাগে বিভক্ত হয়েছে বিজেপিকে ক্ষমতায় ফিরতে সহায়তা করেছে। বাস্তব সত্য হল, হিন্দু বাঙালিরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। ঠিক যেমনি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ভোট পেয়েছে। তাঁর দাবি, সংখ্যালঘু ভোট অতীতের মতোই সিপিএম এবং কংগ্রেসের পক্ষে গেছে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে গত বিধানসভার তুলনায় জনজাতি ভোট তিপরা মথা বেশি পেয়েছে।
আজ প্রদ্যোত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জেতাতে তিপরা মথা সহায়তা করেছে ওই ধারণা ভুল প্রমাণিত করার চেষ্টা নিয়েছেন। তিনি বলেন, খুবই অবাক করা বিষয় হল, বিরোধীদের খারাপ ফলাফলের জন্য অনেকেই তিপরা মথাকে দায়ী করছেন। অথচ কোন রাজনৈতিক দল তিপরা মথার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে এই অভিযোগ তুলছে না। তাঁর দাবি, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আমাদের অধিকার আছে। অনেক আসনের অন্য দলের জন্য তিপরা মথা জয়ী হতে পারেনি।
এদিন তিনি সাফ জানিয়েছেন, তিপরা মথা বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে সরকারের বিভিন্ন কার্যকর্ম নিয়ে সোচ্চার হবে। ত্রিপুরার উন্নয়নে সমস্ত বিষয় নিয়ে সরব হবে। সাথে তিনি যোগ করেন, গ্রেটার তিপরাল্যান্ড নিয়ে কোন আপোষ করবে না তিপরা মথা। ওই ইস্যুতে সাংবিধানিক সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত আমরা সরকারে সামিল হব না। তাঁর দাবি, আমরা মন্ত্রিসভায় পদ চাই না, আমাদের মানুষের অধিকার চাই।