আগরতলা, ৩০ জানুয়ারি (হি.স): ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের আসন রফা কার্যত ভেস্তে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। কারণ, শর্ত ভেঙ্গে আজ কংগ্রেসের তিনটি আসনে বামফ্রন্ট প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বামেদের আসনেও কংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফলে, বামগ্রেস জোট ঘুটে পরিণত হয়েছে, সমালোচকরা তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু করেছে।
ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট ৪৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছিল। কংগ্রেসের জন্য ১৩টি আসন ছেড়েছিল। কিন্তু, কংগ্রেস ১৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে শুরুতেই আসন রফার সিদ্ধান্তে জোর ধাক্কা দিয়েছে। তাতে, অবশ্যই বামেরা চরম অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন এবং কংগ্রেসের সাথে পুণ: আলোচনা হবে জানিয়েছিলেন। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জোটে জট মিটে যাবে বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু, আজ মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় অন্য চিত্র নজরে এসেছে। তাতে, অবশ্যই শাসক দল বিজেপি আড়াল থেকে মুচকি হাসছে।
বাধারঘাট কেন্দ্রে সিপিএমের শরিক দল ফরোয়ার্ড ব্লক এবং কংগ্রেস উভয়েই আজ মনোনয়ন জমা দিয়েছে। অন্যদিকে, ধর্মনগর, টাউন বড়দোয়ালি, বনমালিপুর এবং আগরতলা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ওই আসনগুলি কংগ্রেসের জন্য ছেড়েছিল বামফ্রন্ট। কিন্তু, এখন পুরো জট লেগে গেছে, বামগ্রেসের আসন রফায়, এমনটাই মনে হচ্ছে।সিপিএম নেতা পবিত্র করের বক্তব্য, কংগ্রেস শর্ত মানেনি। তাই, বামফ্রন্টকেও সুযোগ নিতে হয়েছে। তবে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের পূর্বে সমস্যা মিটে গেলে, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস একত্রিত হয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, দাবি করেন তিনি। কিন্তু, আখেরে আসন রফা নিয়ে সমস্যার আদৌ সমাধান হবে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে, এখন বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের নয়া সমীকরণ নিয়ে হাজির হয়েছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। কিন্তু, শেষ পরিণতি দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন গোটা রাজ্যবাসী।

