উস্থি, ২২ জানুয়ারি (হি. স.) পুত্রবধুর সাথে এলাকার এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল শাশুড়ি। আর সেই কারণেই পথের কাঁটা সেই শাশুড়িকে খুন করে শৌচালয়ের কুয়োতে ফেলে দেয় বৌমার প্রেমিক। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার বাড়ির পেছনের ভাঙা কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় সরস্বতী রায় নামে বছর পঁয়ষট্টির ঐ মহিলার মৃতদেহ। ঘটনার খবর পেয়ে উস্থি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে মূল অভিযুক্ত খোকন ফকিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সরস্বতী দেবী ভোলেরহাট এলাকার বাড়িতে ছোট ছেলে দীপক রায়ের সাথে থাকতেন। সম্প্রতি ছোট ছেলে দীপক রায়ের স্ত্রী সুপর্না রায় এলাকার এক যুবক খোকন ফকিরের সাথে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি ওই যুবকের সাথে অপ্রীতিকর অবস্থায় বৌমাকে দেখে ফেলেন সরস্বতী। এরপর থেকেই সুপর্ণা মগরাহাটে নিজের বাপের বাড়িতে চলে যান। ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকবার সরস্বতীকে ফোন করে হুমকি দেয় খোকন। এছাড়া নানা ভাবে এই পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে খোকনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার, দীপক রায় কাজ থেকে বাড়ি ফিরে মাকে দেখতে না পাওয়ায় চারিদিকে খোঁজখবর শুরু করেন। উস্থি থানাতেও নিখোঁজ ডাইরি করেন। কিন্তু কোনভাবে খোঁজ পাননি মায়ের। রবিবার সকালে বাড়ির পেছনের পাতকুয়া থেকে ঐ বৃদ্ধার হাত পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় মানুষজন ও পরিবারের অভিযোগ, পুত্রবধুর সাথে এলাকার যুবক খোকন ফকিরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল শাশুড়ি সরস্বতী রায়। তাই পুত্রবধূর প্রেমিক খোকন ফকির বৃদ্ধাকে খুন করার পর শৌচালয়ের চেম্বারে ঢুকিয়ে দেয় তথ্য লোপাটের জন্য। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উস্থি থানার পুলিশ। মূল অভিযুক্ত খোকন ফকিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।