ভাঙড়, ২২ জানুয়ারি (হি. স.) শনিবারের পর রবিবারও নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিন ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। এদিন সকালে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বাড়ির পেছন থেকে উদ্ধার হয়েছে ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা। সকালে স্থানীয় চাষিরা মাঠে চাষ করতে যাওয়ার সময় এই বোমা দেখতে পেলে কাশীপুর থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করেছে। অন্যদিকে, শনিবারের ঘটনার পর রবিবার সকাল থেকেই কার্যত থমথমে হাতিশালা এলাকা। এই হাতিশালা এলাকাতেই শনিবার দুপুরে আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আইএসএফ কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে শনিবার রনক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল এই হাতিশালা।
রবিবার সকাল থেকেও এলাকা যথেষ্ট থমথমে। চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট আতঙ্কিত রয়েছেন এখনও। সাধারণ মানুষও যথেষ্ট ভয়ে রয়েছেন। তবে নতুন করে যাতে কোন অশান্তি না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে হাতিশালায়। অন্যদিকে গত রাতে ভাঙড়ের পিঠাপুকুর এলাকায় সেখানেও তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। আইএসএফের পাল্টা দাবি তাঁদেরকে ফাঁসানোর জন্য নিজেরাই নিজেদের পার্টি অফিস ভেঙেছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে এই এলাকাতেও যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। হাকিমুল ইসলাম বলেন, “ গত কিছুদিন ধরেই এলাকায় নানা ধরনের অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে আইএসএফ। এলাকায় পতাকা লাগানোর নাম করে আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে। আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। আজ আমাদের বাড়িতে বোমা মারবে বলে বোমা মজুত করেছিল।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী বেচা ঘোষ বলেন, “ গতকালের ঘটনার পর থেকে আমরা যথেষ্ট আতঙ্কিত। গতকাল যেভাবে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াল, মারামারি হল তাতে আমরা আতঙ্কিত।”
পাশাপাশি গত রাতে এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে কাশিপুর থানার পুলিশ একটি আগ্নেয়াস্ত্র, এক রাউন্ড গুলি সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর এলাকা থেকে। ধৃতরা আইএসএফ কর্মী বলেই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে শনিবার হাতিশালায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে প্রায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।