পূর্ব মেদিনীপুর, ২৬ ডিসেম্বর (হি.স.): হামলা এবং পাল্টা হামলায় আবার সরগরম পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। রবিবার রাতে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। এ নিয়ে সোমবার এলাকায় ছিল উত্তেজনা। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন দু’পক্ষই।
ভেকুটিয়ায় সমবায় সমিতির ভোটের পর আবার উত্তপ্ত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। যে ভাবে প্রতি দিন রাজনৈতিক ঝামেলা হচ্ছে, তার জেরে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় সে জন্য এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। তবে আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না বিপ্লব মিত্রের ঘনিষ্ঠদের।
সোমবার বিজেপির তরফে অভিযোগ, রবিবার রাতে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের গোকুলনগরের বৃন্দাবনচকে বিজেপি করার ‘অপরাধে’ অভিজিৎ সাহু নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ নিয়ে বিজেপির নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মাইতির দাবি, ‘‘রবিবার অটলজির (প্রাক্তন এবং প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী) জন্মদিন পালিত হয়েছে বুথে বুথে। বৃন্দাবনচকেও এই কর্মসূচি সফল ভাবে পালন করেছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। ওই আক্রোশে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তৃণমূল আশ্রিত সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা বৃন্দাবনচকে হামলা চালায়। অভিজিতকে টেনে এনে মারধর করা হয়। এর বিরুদ্ধে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’
পুলিশের দাবি, স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা প্রতাপ সাহা এবং বিপ্লব মিত্র গোষ্ঠীর মধ্যে পুরনো শত্রুতার জেরেই এই সংঘর্ষ। বিপ্লব মিত্রের গোষ্ঠীর অভিযোগ, প্রথমে প্রতাপ সাহার ঘনিষ্ঠ লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালায়। পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। অন্যদিকে, হামলার পাল্টা অভিযোগ করেছে প্রতাপ সাহার গোষ্ঠীর লোকজন।

