নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ ডিসেম্বর৷৷ প্রধানমন্ত্রীর সভায় লক্ষ্য পূরণ হয়নি, কাছাকাছিও যায়নি৷ মাত্র এক শতাংশ জনজাতি অংশে মানুষও উপস্থিত ছিল না৷ মহিলার সংখ্যাও খুব নগণ্য ছিল৷ যা এক দুই শতাংশের অধিক হবে না৷ মানুষের মধ্যে উত্তাপ উল্লাস কিছুই ছিল না৷ সবচেয়ে বড় বিষয় হলো চেয়ার ছেড়ে মানুষের লাফানোর সৌভাগ্য এদিন প্রধানমন্ত্রী অর্জন করতে পারেননি৷ সোমবার রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রেখে এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার৷
তিনি আরও বলেন, পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে মোদি সরকারের সর্বনাশা নীতির জন্য সারা দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে৷ সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে থেকে অনেকগুণ বেশি বাড়ছে ত্রিপুরা রাজ্যের জিনিসপত্র৷ আর এই পরিস্থিতিতে ন্যায্য মূল্যের দোকানে পর্যন্ত গিয়ে মানুষ সঠিকভাবে জিনিসপত্র পাচ্ছে না৷ কারণ সংশ্লিষ্ট দপ্তর চালাচ্ছে বিজেপি৷ আর এই অভিজ্ঞতা অর্জন করছে প্রতি ঘরের মহিলারা৷ এমনকি মহিলারা বাজারে পর্যন্ত যেতে পারছে না কারণ আয় নেই, উপার্জন নেই৷ রেগা কাজের ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ত্রিপুরা শীর্ষস্থানে ছিল৷ যার ফলে গ্রাম পাহাড়ের চেহারার পরিবর্তন হয়েছিল৷ বর্তমানে ৩০-৩২ দিনের বেশি কাজ হয় না৷ সরকার যে তথ্য তুলে ধরছে তার সম্পূর্ণ ভুল৷ বরং মন্ডলের নেতারা তার উপরও আবার থাবা বসাচ্ছে৷ গত দুর্গাপূজার আগে যারা কাজ করেছিল তাদের মজুরি এখনো মিলেনি৷ আজ এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরায় এসে গলা ফাটিয়ে বক্তব্য করছেন৷ কিন্তু তিনি কি ত্রিপুরার খবর রাখেন? যা লিখে দিয়েছে তা পড়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এটা কি একজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ণ তুললেন বিরোধী দলনে
2022-12-19