চ্যাংরাবান্ধা, ২৩ অক্টোবর (হি.স.) : কালীপুজো উপলক্ষ্যে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে দুদিন বাংলাদেশে পণ্য না পাঠানোর সিদ্ধান্ত । দুদিন বানিজ্য বন্ধ থাকার সিদ্ধান্তের কারণে রবিবার সীমান্ত দিয়ে পণ্য পাঠানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। যার কারণে এদিন ট্রাকের ভিড় জমে গিয়েছিল রাস্তায়।
কালীপুজোয় চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত যানজট মুক্ত রাখতে সীমান্তের সার্ক রোড পুরো ফাঁকা করার নির্দেশ দিল পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের তরফে মাইকযোগে প্রচারও করা হয়েছে। সীমান্তের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে বাইপাস, কলসিবান্ধা, পানিসালা, হেলাপাকড়ি মোড় এলাকা অবধি রাস্তার দুই ধারে কোনরকম ট্রাক কিংবা যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখলে সংশ্লিষ্ট যান মালিকের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এবারও বিগ বাজেটের কালীপুজোয় মেতেছে কোচবিহার এই সীমান্তের একাধিক পুজো কমিটি। গত বছরের কালীপুজোতেও এখানকার পুজো দেখার জন্য প্রচুর মানুষের ভিড় জমেছিল। যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছিল পুলিশ প্রশাসনকেও। সেকথা মাথায় রেখে আগে থেকেই এনিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছেন। এদিকে গত দুদিন থেকে এই স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে যাবার জন্য ট্রাকের লাইন পড়ে গিয়েছিল। কালীপুজো উপলক্ষ্যে এই স্থলবন্দর দিয়ে দুদিন বাংলাদেশে পণ্য না পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দুদিন বানিজ্য বন্ধ থাকার সিদ্ধান্তের কারণে রবিবার সীমান্ত দিয়ে পণ্য পাঠানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। যার কারণে এদিন ট্রাকের ভিড় জমে গিয়েছিল রাস্তায়। যদিও পুলিশের তরফে এদিনও রাস্তা সর্বদা যানজট মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
এদিন চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা এবং পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখেন মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা, মেখলিগঞ্জের এসডিপিও অরিজিৎ পাল চৌধুরী, ওসি রাহুল তালুকদার সহ অন্যান্যরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এখানেদ পুজো উপলক্ষ্যে সবধরণের পুলিশি ব্যবস্থা থাকছে। সবাই যেন সরকারিবিধি মেনে চলেন সে কথাও বলা হয়েছে।