মেয়াদোত্তির্ণ বিসুকট-চানাচুর খেয়ে অসুস্থ বহু মানুষ খোয়াইয়ে

biscuitনিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ৮ জানুয়ারি ৷৷ ছয় মাস পূর্বের মেয়াদ উত্তির্ণ চানাচুর ক্রয় করে খাবার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দূর্গানগরের এক যুবক৷ সুকলের দিদিমনি মেয়াদ উক্তিন্য বিসুকট ক্রয় করে ছাত্র ছাত্রী দের মধে বিলিয়ে দিলে ঐ বিসুকট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বহু ছাত্রছাত্রী৷ বেকারীর রুটি, কেইক, টং দোকানের চিপস ও অন্যান্য খাবার দাবার খেয়ে প্রতি দিনই বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লেও শীত ঘুমেই রয়েছে খোয়াই এর খাদ্য দপ্তরটি৷ খোয়াই মহকুমা ম্যাজিষ্টে ডঃ সমিত রায় চোধুরী নিজে স্বউদ্যোগী হয়ে সন্ধ্যার পর সতটা দিন এই অভিযানে বেরিয়েছেন ঠিক ততটা দিনই খোয়াই খাদ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা মহকুমা ম্যাজিষ্টেটের পেছনে পেছনে গিয়েছেন৷ খোয়াই মহকুমার কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই মেয়াদ উত্তির্ণ খাবার বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি করলেও খোয়াই মহকুমার খাদ্য দপ্তর এর অফিসার ও পর্য্যবেক্ষকরা দিবিব নাকে তেল দিয়ে খুমুছেন৷ গত পরশু দুর্গানগরের যুবক অনন্ত রূদ্র পাল পুরাতন বাজারের কৃষ্ণ প্রিয় মিষ্টান্ন ভান্ডার নামক দোকান থেকে চানাচুর কিনে নিয়ে বাড়ীতে খায়৷ চানাচুর খাওয়ার পর থেকেই ঐ যুবক মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ যুবকের পিতা তথা শ্রমিক অরুন রুদ্র পাল পাশের বাড়ীর এক শিক্ষিত যুবককে চানাচুরের পেকেট খানা দেখালে তখনই ধরা পড়ে মেয়াদ উক্তিন্যের বিষয়টি৷ পরে ঐ শ্রমিক চানাচুর সহ পেকেট থানা খোয়াই থানায় নিয়ে এসে তিনি মেয়াদ উক্তিন্যের অভিযোগ করেন দোকান ব্যবসায়ী গনেশ সাহার বিরুদ্ধে৷ স্বর্নযুগের পুলিশ ঐ চানাচুরের পেকেট খানা থানায় রেখে শ্রমিক অরুন রুদ্র পালের অভিযোগ ডাইরীতে লিখে রেখে সন্ধ্যায় ওনাকে থানায় আসতে বলে৷ পুলিশের কথা মত শ্রমিক অরুন বাবু থানায় গেলে থানার বিখ্যাত মিমাংসার মাস্টার এএসআই রবীন্দ্র দাস অরুন বাবুকে বলেন কেইস করে লাভ নেই ঘটনা মিমংসা করার জন্য৷ এএসআই রবীন্দ্র দাসের এই ধরনের প্রস্তাব শুনে অরুন বাবু জানতে চান ওনার অভিযোগ থানার সরকারী খাতায় এন্ট্রি হবে কি না৷ শ্রমিকের মুখ থেকে এহেন কথা শুনে রবীন্দ্র দাস জানিয়ে দেন বড় বাবু নেই, বড়বাবু এলে তখন আসবেন৷ অভিযোগ খোয়াই থানার এই সহকারী সাব ইনস্পেক্টর প্রায়ই  আইনের দ্বারস্থ হওয়া সাধারন মানুষকে নাজেহাল করেন উপরি কামাই এর  ধান্দায়৷ অথচ জেলার পুলিশ সুপার সব জেনে শুনেই ঐ ধরনের অফিসারকে সাধারন মানুষদের আইনী পরিষেবা  দেওয়ারগ নামে রবীন্দ্র দাসকে জেলা সদর খোয়াই থানায় বসিয়ে রেখে পুলিশের বদনাম কামাই করছেন৷ শহর জুরে মেয়াদ উত্তিন্য খাদ্য দ্রব্য প্রকাশ্যে বিক্রি রোধ করতে যেমন খাদ্য দপ্তরের হেলদুল নেই ঠিক তেমনি স্বর্নযুগের পুলিশও ন্যায্য অভিযোগ হাতে পেয়েও আইন প্রয়োগ করছেন না অপরাধীদের বিরুদ্ধে৷ এ হেন ঘটনায় খোয়াই এর সচেতন অংশের জনগন খাদ্য দপ্তর ও আরক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুসছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *