পানিসাগর, ১৯ জুন৷৷ নোয়াগাঙ ইন্দ্রছড়া এডিসি এলাকাভুক্ত৷ ১৯৮১ সালে স্কুলটি শুরু হয়েছিল৷ শুরুর পর থেকেই বাংলা মাধ্যম না হয়ে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের জন্য দাবি উঠে আসছিল৷ এখানে অধিকাংশই রাঙখল, রিয়াঙ, হালাম এবং দেববর্মা সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রী৷ বামফ্রন্টের আমলে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে স্কুলটিকে ইংরেজি মাধ্যমের না করে বাংলা মাধ্যম হিসেবে করা হয়৷
২০১৩ সালে এসএমসি কমিটি এবং গ্রামবাসীরা মিলিতভাবে বিদ্যালয় অধিকর্তার কাছে স্কুলটিকে ইংরেজি মাধ্যমে উন্নীত করার জন্য আবেদন জানায়৷ তখনকার শাসকদলীয় জেলা সম্পাদক অমিতাভ দত্তের কাছে বারেবারে স্কুলের দাবি নিয়ে গ্রামবাসীরা গেলে তিনি আশ্বাস দিয়ে ঘুরিয়ে দেন৷ ২০১৯ সালে গ্রামবাসী এবং এসএমসি কমিটি পুনরায় বিদ্যালয় অধিকর্তার কাছে স্কুলটিকে ইংরেজি মাধ্যমে উন্নীত করার জন্য আবেদন জানায়৷ এমনকি আবেদনের সাথে পানিসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কের একটি চিঠিও তারা বিদ্যালয় অধিকর্তার কাছে প্রদান করে৷
২৭ মে ২০২২ বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের কাছে তাঁরা দাবি নিয়ে মিলিত হন৷ উপাধ্যক্ষ বলেন, উপনির্বাচন শেষ হলেই এই নিয়ে তিনি দেখবেন৷ মে মাসের ৪ তারিখ বিদ্যালয় অধিকর্তার কাছ থেকে স্কুলের সার্বিক খবর পাঠাতে একটি চিঠি আসে৷ স্কুলটিতে বর্তমানে ১০ জন শিক্ষক রয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন ইংরেজি মাধ্যমের এবং একজনকে ডেপুটেশনে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে৷ এলাকার অভিভাবকরা ক্ষুব্দ হয়ে সোমবার স্কুলের শিক্ষকদের তালবন্দী করে আন্দোলনে নামেন৷ তারা জানান, প্রয়োজনে জাতীয় সড়ক অবরোধ করবেন৷ আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিলেন এসএমসির সভাপতি সামসুল হালাম, সহ-সভাপতি সামবুমরিঙ হালাম এবং গ্রামবাসীদের পক্ষে বাবুরিঙ হালাম৷উল্লেখ্য ইংরেজি মাধ্যমের না হওয়ায় বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনবরত কমে যাচ্ছে৷ এখন প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১২২ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে৷ ক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে যে করেই হোক তারা তাদের দাবি আদায় করে ছাড়বে৷

