নয়াদিল্লি, ৫ জুন(হি.স) : বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, দেশ নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মাস আগে পেট্রোলে ১০ শতাংশ ইথানল মিশ্রণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। যার ফলে দেশের ৪১ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে এবং কৃষকদের ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী রবিবার বিজ্ঞান ভবনে সদগুরু জগ্গি বাসুদেব পরিচালিত মাটি বাঁচাও অভিযানের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় এই ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এর ফলে ভারতের জন্য ৪১ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে। এজন্য কৃষক ও তেল কোম্পানিগুলোকে অভিনন্দন জানাতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভারত অ-জৈবিক জ্বালানি ভিত্তিক উত্স থেকে তার শক্তি উৎপাদন ক্ষমতার ৪০ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত সময়ের ৯ বছর আগেই এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে ভারত। আজ আমাদের সৌরবিদ্যুতের ক্ষমতা প্রায় ১৮ গুণ বেড়েছে। এটা পরিবেশ রক্ষায় আমাদের অঙ্গীকারের ফল।
তিনি আরও বলেন, ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে ২০৬০ মিলিয়ন হেক্টর অনুর্বর জমিকে আবার উর্বর করার জন্য কাজ করছে। আজ ভারত পরিবেশ রক্ষার জন্য নতুন উদ্ভাবন এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির উপর ক্রমাগত জোর দিচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় ভারতের প্রচেষ্টা বহুমুখী হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনে ভারতের ভূমিকা যখন নগণ্য, তখন ভারত এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় আধুনিক দেশগুলো শুধু পৃথিবীর অধিক সংখ্যক সম্পদই শোষণ করছে না, তারা সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাটি বাঁচাতে তার সরকার প্রধান পাঁচটি বিষয়ে নজর দিয়েছে। প্রথম- কিভাবে মাটি রাসায়নিকমুক্ত করা যায়। দ্বিতীয়ত- মাটিতে যে জীবগুলো বাস করে, যেগুলোকে টেকনিক্যাল ভাষায় আপনি মাটির জৈবপদার্থ বলছেন, সেগুলো কিভাবে বাঁচানো যায়। তৃতীয়- কিভাবে মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখা যায়, কিভাবে জলের যোগান বাড়ানো যায়। চতুর্থ- কম ভূগর্ভস্থ জলের কারণে মাটির যে ক্ষতি হচ্ছে তা কীভাবে দূর করা যায়। এবং পঞ্চম, বনভূমি হ্রাসের ফলে মাটির ক্রমাগত ক্ষয় কিভাবে বন্ধ করা যায়।
তিনি আরও বলেন, এই ব্যবস্থাগুলির ফলে কৃষকদের খরচ ৮ থেকে ১০ শতাংশ সাশ্রয় হয়েছে এবং ফলন ৫ থেকে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাইক্রো-সেচ এবং অটল ভু-যোজনার কারণে দেশের অনেক রাজ্যে মাটির স্বাস্থ্যও ভালো হচ্ছে।