রাঁচি, ২১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): লালু প্রসাদ যাদবের ফের জেলের সাজা। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ১৩৯.৩৫-কোটি টাকার ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবকে। সোমবার রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে এই সাজা দিয়েছে। পাশাপাশি ৬০ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়েছে লালুকে।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির এটি পঞ্চম মামলা, ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় গত মঙ্গলবার লালুকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত। ওই দিন সশরীরে রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দেন লালু। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির আরও চারটি মামলায় ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লালু প্রসাদ যাদব। গত মঙ্গলবার পঞ্চম মামলা ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। এরপর সোমবার সাজা ঘোষণা করা হয়েছে, লালুকে ৫ বছরের জেল ও ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত।
উল্লেখ্য, ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় গত ২৯ জানুয়ারি শেষ হয়েছিল যুক্তিতর্ক শুনানি, তারপর রায়দান সংরক্ষিত রাখে আদালত। বিশেষ সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) বিচারক এস কে শশীর আদালত লালু প্রসাদ-সহ ৯৯ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শুনানি শেষ করেছে, যা গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে চলছিল। গত মঙ্গলবার রায়দানের দিন সমস্ত অভিযুক্তকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। ওই লালুকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন বিচারপতি সি কে শশী।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় মোট অভিযুক্ত ছিল ১৭০ জন, ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৭ জন সরকারি সাক্ষী হয়েছেন, দু’জন নিজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বীকার করেছেন এবং ছ’জন পলাতক। লালু প্রসাদ ছাড়াও প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, তৎকালীন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান ধ্রুব ভগত, পশুপালন সচিব বেক জুলিয়াস এবং পশুপালন সহকারী পরিচালক কে এম প্রসাদ প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন।