আগরতলা, ৩১ ডিসেম্বর (হি. স.) : মিজোরামে গিয়ে ত্রিপুরার দুই নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একজন বর্তমানে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে এবং অপরজন আইজল হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তাঁদের উভয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি দাবি করেছেন, পেশায় তাঁরা শ্রমিক। মিজোরামে পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে, ত্রিপুরা পুলিশ অন্য কথাই বলছে। ত্রিপুরা থেকে মিজোরামে মদ বিক্রি করে ফেরার পথে তাঁরা ড্রাগস নিয়ে আসছিলেন। তাতে, মিজোরাম পুলিশের তাঁদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে। তখনই তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একজনের পায়ে এবং অপরজনের পেটে গুলি লেগেছে।
ভাংমুন থানাধীন লুঙ্গথির এলাকার বাসিন্দা রমৈই রিয়াঙ (৩৯) এবং তাঁর ছেলে রতেন্দ্র রিয়াঙ (১৮) কাজের সন্ধানে মিজোরামে গিয়েছিলেন। মিজোরাম পুলিশের জনৈক আধিকারিকের বাড়িতে তাঁরা কাজ করতে গিয়েছিলেন। রমৈই রিয়াঙ জানিয়েছেন, ওই আধিকারিক তাঁর ছেলেকে মদ আনতে বলেছিলেন এবং তখনই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। তাতে রমৈই রিয়াঙ-র পায়ে এবং রতেন্দ্র রিয়াঙ-র পেটে গুলি লেগেছে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রমৈই রিয়াঙ সেখান পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি খেদাছড়া হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্ত অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে, রতেন্দ্র রিয়াঙ বর্তমানে আইজলে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন।
পুলিশ সুত্রে দাবি, রমৈই রিয়াঙ ও রতেন্দ্র রিয়াঙ মিজোরামে মদ বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। ত্রিপুরায় ফেরার পথে তারা ড্রাগস নিয়ে আসছিলেন। মিজোরাম পুলিশ তাঁদের আটক করতে গেলে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। তখন তাঁদের থামাতে মিজোরাম পুলিশ গুলি ছুড়েছে। তাতে দুজনই গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।