Dilapidated condition : দই দিনের বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ ডিসেম্বর।। এক পশলা বৃষ্টিতেই ধলাই জেলার আমবাসা জাতীয় সড়কের জল নিষ্কাশনের ড্রেইন ভেঙ্গে তলিয়ে গেল। তাতে সমস্যা আরো চরম আকার ধারণ করেছে। আমবাসা বাজারের জাতীয় সড়কের পাশে চলছে জল নিষ্কাশন এর ড্রেইনের কাজ। বিগত চার মাস ধরে চলছে এই কাজ। এই ড্রেইনের কাজের ফলে ব্যবসায়ীদের অনেকটাই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ীদের দোকানে চলাচল করার মত ব্যবস্থা নেই। ড্রেইন কেটে দোকানে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। যার ফলে ব্যবসায়ীরা চাইছে অতিসত্বর কাজটি সম্পন্ন হোক। কিন্তু কাজ চলছে অতি নিম্নমানের। এন এইচ ডি সি এল এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। যার ফলে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সাথে ব্যবসায়ীরা কথা বলতে পারছে না।

সোমবার ও মঙ্গলবার দিনভর হালকা বৃষ্টির ফলে ড্রেইনের অর্ধেক অংশ ভেঙে পড়েছে। তাতে সমস্যা আরো চরম আকার ধারণ করেছে।যার ফলে ক্ষোভ দেখা দেয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। আমবাসা বাজার কমিটির সেক্রেটারি অমৃতা রায় জানায় বৃষ্টির ফলে ড্রেইনের অনেকটা অংশ ভেঙে গেছে, ড্রেইনের রড গুলি আরোও মজবুত করা দরকার ছিল। মহকুমা শাসক এবং পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা কাজ তদারকি করলেও কাজের গুণগত মান বজায় রাখা হয়নি বলে অভিযোগ। আগরতলার মানব দেব নামে এক ঠিকাদার কাজের দায়িত্বে রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার বাবু কাজটি অতি নিম্নমানের করিয়ে যাচ্ছেন। কাজের জায়গায় উনাকে পাওয়া যায় না বলেও অভিমত ব্যবসায়ীদের। এদিকে এ কাজটি শুরুতে পরিদর্শন করেছিলেন বিধায়ক পরিমল দেববর্মা।তিনি বলেছিলেন আমবাসাবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা জল নিষ্কাশন।, তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য জল নিষ্কাশন এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


গত দুদিনের বৃষ্টিতে কিল্লা এলাকার রাস্তাঘাট বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। ভঙ্গুর রাস্তায় জল জমে যাতায়াত কষ্টকর হয়ে উঠেছে। দ্রুত কিল্লা এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। গত দুই দিনের সামান্য বৃষ্টিতে কিল্লা এডিসি এলাকার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার অবস্থা। বেহাল অবস্থার জন্য জল জমে আছে। বিশেষ করে কিল্লা এডিসি এলাকার তৈরুপা বাড়ি,মৈথুলং বাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় জল জমে আছে। ফলে এই রাস্তা দিয়ে মানুষ হাঁটা চলা যেমন কষ্টকর, ঠিক তেমনি গাড়ি,দ্বিচক্রযান চলাচল করা খুবই কষ্টকর।অপর দিকে তৈরুপা বাড়ি এলাকার কনিষ্ঠ মোহন জমাতিয়া জানান, যখন ভোট আসে তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এসে পায়ে ধরে দাদু, কাকু,মামা বলে ভোট চায়।তখন সব প্রতিশ্রুতি পূরণের আশ্বাস দিয়ে যায়।আর ভোট শেষ হলে সব ভুলে যায়।

আক্ষেপ করে কনিষ্ঠ মোহন আরো বলেন,এলাকায় বিদ্যুৎ নেই,খাওয়ার জন্য পানীয় জল নেই।বহুবার দপ্তরের আধিকারিকদের জানিয়েও কিছুই লাভ হচ্ছে না। রাস্তা গুলির বেহাল অবস্থার জন্য গাড়ি সহ দ্বিচক্র যান বাহন চলাচল করা খুবই কষ্ট সাধ্য।এমন কি গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে।বহুবার এডিসি প্রশাসন থেকে শুরু করে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, পূর্ত দপ্তরে জানিয়েও কিছুই কাজ হচ্ছে না।এলাকাবাসির দাবি অতিসত্বর কিল্লার বিভিন্ন এডিসি এলাকায় রাস্তাঘাট মেরামতি করে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করে দেবার।পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত করা,পানীয় জলের ব্যবস্থা করার জন্য দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।এসব দাবি পূরণে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে না আসলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হতে বাধ্য হবেন বলে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। আর তাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো ধরনের অবনতি ঘটে প্রশাসনকেই এজন্য দায়ী থাকতে হবে বলেও তারা জানান।