Human welfare : মানব কল্যাণে কিছু করতে পারলেই জীবনে স্বার্থকতা আসে: সুশান্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ নভেম্বর৷৷ মানব ধর্ম যথাযথভাবে পালন করতে পারলেই মানব কল্যাণের মধ্য দিয়েই মানব ধর্ম পালন করা যায়৷ মানব ধর্ম যথাযথভাবে পালন করতে পারলেই সমাজ সুন্দর হয়৷ আজ ভগৎ সিং যুব আবাসে এনএসএস-র রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী৷ রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে তিনি আরও বলেন, এনএসএস-র সদস্য সদস্যারা মানব সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে৷ সমাজসেবা ও সামাজিক উন্নয়নে অংশীদার হয়ে এনএসএস গৌরব জনক ভূমিকা পালন করছে৷ রক্তদান হচ্ছে মহৎ দান৷ এনএসএস রক্তদানে এগিয়ে আসায় তিনি তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন ও অভিনন্দন জানান৷
অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, সমাজের কল্যাণে ও মানব কল্যাণে কিছু করতে পারলেই মানব জীবনে স্বার্থকতা আসে৷ তিনি স্বামী বিবেকানন্দের সেবা ধর্মের উল্লেখ করে ছাত্রছাত্রীদের আরও বেশী করে সমাজসেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান৷
মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সেখানে রক্তদাতাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের উৎসাহ প্রদান করেন৷ তিনি আরও বলেন, ’’কোভিড-১৯’’ মহামারীর সময়ে যারা স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন তাদের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়৷


রক্তদান জীবন বাঁচায়৷ যাদের রক্তের প্রয়োজন আছে তারা যাতে সময়মত সুলভে উৎকৃষ্ট রক্ত পান তা সুনিশ্চিত করতে রক্তদানে সচেতনতা বাড়াতে হবে৷থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত ভাবে রক্ত নিয়ে সুস্থ থাকতে হয়৷ তাই ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে টাটকা রক্তের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের মধ্যে পড়ে৷ তিনি সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা,সরকারী /বে-সরকারী সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের কাছে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যাতে জরুরী ভিত্তিতে আমাদের প্রয়োজনে ব্লাড ব্যাংক গুলোতে রক্তের মজুতের পরিমান সঠিক মাত্রায় বজায় থাকে৷ এর জন্য অনেক বেশি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির সংগঠিত করার জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে বলে আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, রক্তদানের মাধ্যমে মানবিক কার্যকলাপে অনুপ্রেরণা,উৎসাহ এবং উদ্যোগী হওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য হতে হবে৷ মানুষের জীবন বাঁচানো মনুষ্যত্বের একটি বড় দিক৷রক্তদান করলে রক্তদান কারীরাও অনেক রকম ভাবে সুস্থ থাকতে পারেন এবং রক্তদান করলে রক্তদানীর শরীরে যদি কোনো ধরণের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সেটা ধরা পড়ে যায়৷ রক্তদান এখন আমাদের রাজ্যে উৎসবের আকার ধারণ করেছে৷ মানুষের চেতনার আমূল পরিবর্তনের ফলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে৷ তিনি সকলের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, শুধু রাজধানী আগরতলা কেন্দ্রিক রক্তদান শিবিরের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সারা রাজ্যে এ ধরনের রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে হবে৷ রক্তের স্বল্পতাজনিত সংকটময় মুহুর্তে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সহ সকলকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি৷


এন.এস.এস এর উদ্যোগে আয়োজিত আজকের এই মহতী রক্তদান শিবিরে যাঁরা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন এবং রক্তদান করার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী৷ তিনি বলেন, এন.এস.এস ত্রিপুরা স্টেট ইউনিট রক্তদানের মতো মহৎ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে নিজেদের ত্যাগ ও সেবার কথা আরও একবার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে, এর জন্য আমরা সবাই গর্বিত৷
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে এসে নজির সৃষ্টি করেছেন এই সংগঠনের সাথে যুক্ত সদস্য-সদস্যারা৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এন.এস.এস ইউনিট গুলো
বিভিন্ন সময়ে নিরলস ভাবে নানা ধরণের সমাজ সেবামূলক কাজ করে চলেছেন ’এন.এস.এস ত্রিপুরা স্টেট ইউনিটের’-সদস্য-সদস্যারা৷ মন্ত্রী রক্তদান শিবিরে উপস্থিত সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনএসএস আধিকারিক ড় চিত্রজিৎ ভৌমিক৷ তাছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সুবিকাশ দেববর্মা ও উপধিকর্তা বিপ্লব কুমার দত্ত৷ সভাপতিত্ব করেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উপধিকর্তা বনজিৎ বাগচী৷