আগরতলা, ১৪ জুলাই (হি.স.) : রথ দেখা কলা বেচা! এই প্রাচীন প্রবাদ বাক্যটি রাজনীতিতে অহরহ ব্যবহৃত হয়। এমনই কাকতালীয়ভাবে নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়েও চর্চায় ন্যুনতম দুইদিনের দিল্লি সফরে গেলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। আজ সকালেই দিল্লি গেছেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি ডা: মানিক সাহা। অন্যদিকে গুয়াহাটি থেকে আজ দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন দলের সহ-সভাপতি তথা বিধায়ক রামপ্রসাদ পালও। ফলে রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে শুনা যাচ্ছে, তিন বছর পূর্ণ হওয়ার পর মন্ত্রিসভায় বহু প্রতিক্ষিত রদবদল হতে চলেছে। তবে, কারোর বাদ যাওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। খালি জায়গায় কয়েকজনকে স্থান দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী দফতর সুত্রে খবর, নতুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন বিপ্লব কুমার দেব। তাঁদের সাথে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত চর্চা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সাথে কোভিড পরিস্থিতির বিস্তারিত বর্ণনা দেবেন তিনি। সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সহায়তা সম্পর্কে অবগত করবেন তিনি। একইভাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীকেও ত্রিপুরার শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৫ বছরের বাম জমানায় শিক্ষার বেহাল দশা কাটিয়ে তুলতে সাংঘাতিক পরিশ্রম করতে হচ্ছে, সবিস্তারে তুলে ধরে তিনি কোভিড পরবর্তী সহায়তা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।
এদিকে, রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল ত্রিপুরায় দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা তুঙ্গে রয়েছে। হয়তো সেই মহেন্দ্রক্ষণ আসতে চলেছে। ত্রিপুরায় মন্ত্রিসভায় ৪টি স্থান শূন্য পরে রয়েছে। সেক্ষেত্রে অন্তত দুইটি আসন পূর্ণ করার যথেষ্ট সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় অধ্যক্ষ বদল হচ্ছেন। নয়া অধ্যক্ষ হিসেবে বিধায়ক রতন চক্রবর্তীকে দায়ত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্ত, তিনি ওই দায়িত্ব নিতে চাইছেন না, এমনটাই সূত্রের খবর। এদিকে, বিধায়ক রামপ্রসাদ পালকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে বিদ্রোহী শিবিরে আঘাত আনার ছক কষা হয়ে গেছে। তাই, তিনিও আজ দিল্লি গেছেন। তবে বিশ্বস্ত সুত্রে দাবি, এ যাত্রায় মন্ত্রিসভায় রদবদলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সম্ভাবনা মাত্র ১০ শতাংশ। কিন্ত, ওই সম্ভাবনাকে ফুত্কারে উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না।
তবে, তিপ্রা মথার চেয়ারম্যান তথা এদিসির নতুন কার্যকারী সদস্য প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মনের আজকেই মুখ্যমন্ত্রীর সাথে একই বিমানে দিল্লি যাওয়ার পেছনে কোন রাজনৈতিক সমীকরণ লুকিয়ে রয়েছে, টা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। প্রদ্যুতের ঘনিষ্টমহলের দাবি, নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্যা সিন্ধিয়ার সাথে সৌজন্যমূলক সাক্ষাতে দিল্লি গেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে একই বিমানে যাওয়া নেহাতই কাকতালীয়।