আগরতলা, ৩১ ডিসেম্বর: লেফুঙ্গা থানাধীন তুফানিয়া লুঙ্গা চা বাগান এলাকায় ডেলিভারি বয় প্রবীর শীল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম শেখর তাঁতি ও তন্ময় উরাং। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দু’জনকেই তুফানিয়া লুঙ্গা এলাকা থেকে আটক করা হয়।
লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাস জানান, ধৃতদের আজ আদালতে প্রেরণ করা হবে। এই ঘটনায় নিহত প্রবীর শীলের বাবা মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, নিহত প্রবীর শীল বামুটিয়া বিধানসভা এলাকার নোয়াগাঁও এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় ডেলিভারি বয় ছিলেন। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার বাড়িতে ফিরে ছেলেকে না পেয়ে প্রবীরের বাবা তার মোবাইলে ফোন করেন। ফোনটি ধরে অন্য এক যুবক, সে জানায় প্রবীরকে কয়েকজন মিলে মারধর করছে এবং চা বাগান এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন বাবা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে ছেলেকে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে সর্দার পাড়া এলাকায় প্রবীরকে গুরুতর আহত, প্রায় আধমরা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের দাবি, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রবীর কয়েকজনের নাম জানাতে সক্ষম হয় এবং বলে যে, পরিচিত কয়েকজন ফোন করে তাকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এক যুবক এসে প্রবীরের বাবার হাতে তার ভাঙা মোবাইল ফোনটি তুলে দিয়ে যায়।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে প্রবীর শীল। তার বাবার অভিযোগ, ছেলের সারা শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রড বা কোনো শক্ত বস্তু দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
সোমবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জিবি হাসপাতালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে প্রবীরের বাবা ছেলের মৃত্যুর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

