আগরতলা, ৩১ ডিসেম্বর: নারকেল কুঞ্জ ভিলেজ কাউন্সিল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষমূলক ও অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চাকমা ছাত্র প্রতিনিধিরা। আজ আগরতলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরা চাকমা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, নারকেল কুঞ্জ ভিলেজ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুকুমার দেববর্মা চাকমা সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেছেন।
সংগঠনের প্রধান জীবন চাকমার অভিযোগ, সুকুমার দেববর্মা, যিনি তিপ্রা মথা পার্টির সঙ্গেও যুক্ত, তিনি এলাকায় বসবাসকারী চাকমা ব্যবসায়ীদের ‘বাংলাদেশি’ বলে উল্লেখ করেন, যা সম্পূর্ণভাবে বর্ণবিদ্বেষমূলক ও অগ্রহণযোগ্য। পাশাপাশি শারীরিক বৈশিষ্ট্যকে কেন্দ্র করে মন্তব্য করে নাকের গড়নের সঙ্গে ভাষা শেখার বিষয় জুড়ে দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়, যা ছাত্র সংগঠনের মতে অত্যন্ত আপত্তিকর।
জীবন চাকমা জানান, ঘটনাটি গত ২৯ নভেম্বরের এবং তারপর থেকেই চাকমা সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে ভিসি চেয়ারম্যানের নিঃশর্ত প্রকাশ্য ক্ষমা দাবি করা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ছাত্র নেতারা বলেন, মাতৃভাষা লালন ও চর্চা করা ভারতের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। ত্রিপুরায় ১৯টি জনজাতি সম্প্রদায়ের বসবাস, যাদের প্রত্যেকের নিজস্ব ভাষা রয়েছে এবং সকল জনজাতির প্রধান ভাষা ককবরক নয়। মগ ও মিজোসহ একাধিক জনজাতি সাধারণত ককবরক ব্যবহার করে না বলেও তারা উল্লেখ করেন।
এছাড়াও এদিন সংগঠনের প্রধান প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মার কাছে আবেদন জানান, সংশ্লিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুকুমার দেববর্মার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। তাদের বক্তব্য, এ ধরনের মন্তব্য সামাজিক সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সম্মানকে ক্ষুণ্ণ করে।

