আগরতলা, ২০ ডিসেম্বর : মৌলবাদী শক্তি দ্বারা রেগার নাম পরিবর্তন করে জাতিরজনক মহাত্মা গান্ধীকে চূড়ান্ত অপমান করা হয়েছে। আসলে বাংলাদেশের মৌলবাদীর শক্তি এবং ভারতের মৌলবাদী শক্তির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। উভয়ই ধর্মীয় উগ্রতা এবং অসহিষ্ণুতার প্রতীক। এরই প্রতিবাদে আগামীকাল সারা রাজ্যে আন্দোলনে নামবে প্রদেশ কংগ্রেস। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ।
এদিন তিনি বলেন, এমজিএম রেগা হলো মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন যা গ্রামীণ পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে অদক্ষ শ্রমশক্তিকে, প্রতি আর্থিক বছরে ন্যূনতম ১০০ দিনের কাজের নিশ্চয়তা প্রদান করে, যাতে তাদের জীবিকার সুরক্ষা বাড়ে এবং গ্রামীণ এলাকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সাহায্য হয়। এটি গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যে ভারত সরকারের একটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, যা গ্রামীণ শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও জীবিকা প্রদানে সহায়তা করে। কিন্তু কেন্দ্র সরকার মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন বাতিল করে তার পরিবর্তে বিকশিত ভারত গ্যারান্টি ফর রোজগার ও আজীবিকা মিশন বিল, ২০২৫ নামে একটি নতুন আইন সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠার জোরে পাস করা হয়েছে। এই নতুন আইন শ্রমিক বিরোধী ও সর্বনাশা আইন।
এদিন তিনি আরও বলেন, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন-এর নকশার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল এটি কাজ চাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে যে কোনও গ্রামীণ বয়স্ক ব্যক্তিকে কর্মসংস্থানের আইনি নিশ্চয়তা প্রদান করে। অন্যথায় বেকার ভাতা প্রদান করতে হবে সরকারকে। কিন্তু নতুন আইনে এই সুবিধাকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আসলে কৌশলে শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। তাঁর দাবি, বিগত দিনে তিনটি কৃষক কালো আইন বাতিলের দাবিতে দেশবাসী আন্দোলনে নেমেছিল। সরকার চাপে পড়ে কৃষক আইন বাতিল করেছে। ঠিক একই ভাবে নতুন আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গোটা দেশবাসী আন্দোলনে নামবে।

