ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর: বাংলাদেশে বুধবার ঢাকার কূটনৈতিক এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়, যখন ‘জুলাই ঐক্য’ নামে একটি গোষ্ঠীর ভারতীয় হাই কমিশন অভিমুখে মিছিলের চেষ্টা পুলিশ আটকে দেয়। গুলশানের ভারতীয় হাই কমিশনের দিকে এগোনোর ঘোষণা দিয়েছিল ওই গোষ্ঠী।
বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ রামপুরা ব্রিজের কাছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়ে মিছিল শুরু করে। তারা গত বছরের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতে আশ্রয় নেওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামি লিগের অন্যান্য নেতাদের দেশে ফেরানোর দাবিতে স্লোগান তোলে।
বিকেল ৪টা নাগাদ মিছিলটি উত্তর বাড্ডায় পৌঁছলে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে তাদের আটকায়। বিক্ষোভকারীরা প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে এগোলেও পরে আরও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মুখে পড়ে থেমে যায়। এরপর তারা রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে, লাউডস্পিকারের মাধ্যমে বক্তব্য রাখে ও স্লোগান দেয়। এই ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা ব্যবস্থার তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গুলশান ডিভিশন ও ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি ডিভিশনের পুলিশকর্মীদের রামপুরা ব্রিজ, গুলশান-১-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়, যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কর্তৃপক্ষের দাবি, জনশৃঙ্খলা রক্ষা ও কূটনৈতিক মিশনগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ভারত ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন ঘিরে নিরাপত্তা হুমকির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে নয়াদিল্লিতে তলব করেছে।
বিদেশ মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা ঘিরে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলি যে ভ্রান্ত বয়ান তৈরির চেষ্টা করছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। পাশাপাশি, অন্তর্বর্তী সরকার এখনও পর্যন্ত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করেনি বা ভারতের সঙ্গে কোনও অর্থবহ প্রমাণ ভাগ করে নেয়নি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন যে কোনও পদক্ষেপ রুখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে।

