রোড আইল্যান্ড, ১৪ ডিসেম্বর: শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে এক বন্দুকবাজের হামলায় কমপক্ষে দু’জন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন। হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। কর্তৃপক্ষের মতে, হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত বন্দুকবাজ এখনও ধরা পড়েনি।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলার ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ ক্যাম্পাসে তল্লাশি চালানো শুরু করে। ডেপুটি পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ছিল কালো পোশাক পরিহিত এক পুরুষ, যাকে শেষবারের মতো হামলার স্থান, ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
মেয়র ব্রেট স্মাইলি এই ঘটনায় ‘শেল্টার-ইন-প্লেস’ নির্দেশনা জারি করেছেন এবং ক্যাম্পাসের কাছাকাছি বসবাস করা লোকদের বাড়ির ভিতরে থাকার আহ্বান জানান। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে একটি এলার্ট জারি করা হয়, যাতে বলা হয় ক্যাম্পাসে লকডাউন থাকবে এবং সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে বলা হয়।
হামলার পর, মেয়র স্মাইলি জানান, আহত আটজনের অবস্থা গুরুতর হলেও বর্তমানে তারা স্থিতিশীল। তবে, আহতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন কি না, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
শনিবারের এই হামলা ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের ভবন ‘বারুস অ্যান্ড হলি’-তে ঘটে। হামলার সময় সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইনের পরীক্ষা চলছিল। এক শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলের ঠিক উল্টো দিকের ডরমেটরিতে একটি প্রজেক্টে কাজ করছিলেন।
এক শিক্ষার্থী জানায়, হামলার সময় বারুস অ্যান্ড হলি ভবনের কাছে একটি ল্যাবে থাকা শিক্ষার্থীরা সতর্কবার্তা পাওয়ার পর ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েন এবং আলো নিভিয়ে দেন।
ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এফবিআই ডিরেক্টর কাশ প্যাটেল এক টুইটে জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, “দয়া করে জড়িত সকলের জন্য প্রার্থনা করুন। আমরা যতটা সম্ভব আরও তথ্য আপডেট করব।”
অবশ্য, পুলিশ এখনও সন্দেহভাজন বন্দুকবাজের কোনো খোঁজ পায়নি। তল্লাশি চালানো হলেও, বন্দুকবাজের অবস্থান সম্পর্কে কোনও নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে পুলিশ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো নতুন ঘোষণা করা হয়নি।
আহত আটজনের মধ্যে কিছুজনের অবস্থা গুরুতর হলেও, চিকিৎসা চলমান রয়েছে এবং তারা বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে, এ ঘটনায় হামলাকারীর পরিচয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়নি।

