গন্ডাছড়া মহকুমা বাজার সংলগ্ন রামঠাকুর সেবাশ্রমে দুঃসাহসিক চুরি, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

আগরতলা, ১৩ ডিসেম্বর : পুলিশ, টিএসআর ও সিআরপিএফ জওয়ানদের কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা গন্ডাছড়া মহকুমা বাজার সংলগ্ন জগন্নাথবাড়ি এলাকার শ্রীশ্রীরামচন্দ্র দেবের সেবাশ্রমেও নিরাপত্তাহীনতার ছবি সামনে এল। অভিযোগ, গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান একের পর এক চুরির ঘটনার শিকার হলেও চোরের দলকে আটকাতে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে কোনও এক সময়ে চোরের দল হানা দেয় মহকুমা বাজার সংলগ্ন রামঠাকুর সেবাশ্রমে। লোহার আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মূল মন্দিরের দরজার তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে চোরেরা। মন্দিরের ভিতরে রাখা প্রণামীর বাক্সটি ভেঙে বা তুলে নিয়ে যায় তারা।

শনিবার ভোরে পূজা দিতে এসে মন্দিরের পূজারী প্রথমে লক্ষ্য করেন মূল মন্দিরের দরজা ভাঙা। এরপরই তিনি মন্দির কর্তৃপক্ষকে ফোনে ঘটনার কথা জানান। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মন্দিরের কর্মকর্তা প্রমীল দেব, নৃপেন্দ্র রায় সহ অন্যান্য ভক্তরা। পরে গন্ডাছড়া মহকুমা থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।

মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রমীল দেব জানান, প্রতি তিন মাস অন্তর প্রণামীর বাক্স খোলা হয়। তাঁর দাবি, চুরি হওয়া প্রণামীর বাক্সে আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা ছিল। তবে চোরেরা প্রণামীর বাক্সটি নিয়ে গেলেও মহাপ্রভু শ্রীশ্রীঠাকুরের চূড়ায় থাকা সোনার চূড়াটি অক্ষত রয়েছে।

এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া উপস্থিতির মধ্যেও কীভাবে চোরেরা নির্বিঘ্নে মন্দিরে ঢুকে চুরি চালাল, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ভক্তরা।

রামঠাকুর সেবাশ্রমে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা দুর্গাপুর গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত চোরদের গ্রেপ্তার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির নিরাপত্তা জোরদারের দাবি উঠেছে সর্বত্র।

______

Leave a Reply