সোনামুড়া, ১১ ডিসেম্বর: কুকুরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সোনামুড়া থানাধীন শ্রীমন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শ্রীমন্তপুর গ্রামে বিগত কয়েকদিন যাবত সারমেয় – র তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, যখন তখনই মানুষ পশু যাকে খুশি কামড়ে দিচ্ছে সেই সারমেয়। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে এলাকার সাধারণ পশুপালকদের। অভিযোগ সারমেয় – এর কামড়ে প্রাণ হারায় বেশ কিছু হাঁস মোরগ এমনকি ছাগল এবং তার সাবক। ঘটনা কেবলমাত্র একদিনই ঘটেছে সেমনটা নয় প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী সঙ্ঘবদ্ধভাবে ওই কুকুরটিকে পাগলা কুকুর সন্দেহে মেরে ফেলে। আর তারপরেই সৃষ্টি হয় জটিলতা উত্তেজনা ছড়ায় গ্রামের দুই ওয়ার্ডে।
মেরে ফেলা সারমেয়টির মালিক শ্রীমন্তপুর এলাকার দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে থানায় মামলা করে বলে জানা যায়। আর এই খবর চাওয়া হতেই শ্রীমন্তপুর এলাকায় উত্তেজনা আরো চড়ে বসে। এলাকাবাসীরা সংবাদ প্রতিনিধির নিকট অভিযোগ করে যদি সারমেয়টির কোন নির্দিষ্ট মালিক থেকে থাকে তাহলে এতদিন যে সারমেয়টির দ্বারা মানুষের এত নষ্ট হচ্ছে সেই বিষয়টি জেনে কেন তাকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়নি। যদি তাকে বাড়িতে আটকে রাখা হতো তাহলে সেটি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে এসে এভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারত না। তাছাড়া সারমেয়টির কামড়ে আহত হয়ে যেই গবাদি পশুগুলির মৃত্যু হয়েছে তার দায় কে দেবে ।
অন্যদিকে প্রতিনিয়তই ওই এলাকার ছোট ছোট শিশুরা স্কুলে যাওয়া আসা অবস্থায় যদি সারমেয়টির কামরে আহত হতো তাহলে কি ঘটতো। তাই সার্বিক বিষয় চিন্তা করে ওই পাগলা কুকুরটিকে মারার সিদ্ধান্ত নিয়ে এলাকাবাসী। আর এত কিছু ঘটে যাবার পর সারমেয় – র মৃত্যুতে টনক নড়ে মালিকের।
তাই এলাকাবাসীরা সিদ্ধান্ত নেয় যদি এলাকাবাসীর যে ক্ষতি হয়েছে সারমেয়টির কামড়ে তার সঠিক ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হলে মালিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবে এলাকাবাসী।
তারা একে একে সারমেয়টির কামড়ে আহত হওয়া গবাদি পশুগুলির চিকিৎসা করালেও বর্তমানে যথেষ্ট চিন্তিত ঐ সকল পরিবারগুলি।
তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে মহামান্য আদালতের আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি সারমেয়কে টিকা করন এবং বন্ধাত্বকরণের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কি কাজ করছেন প্রশাসন, তাদের নিকট আছে তো সেরকম প্রশিক্ষিত কর্মী আর যদি থেকেই থাকে তাহলে কেন এখনো তারা কাজে নামছেন না।
তবে এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন , নাকি উত্তেজনা আরো চরম পর্যায়ে পৌঁছবে শ্রীমন্তপুর গ্রামের।

