নয়াদিল্লি, ১১ ডিসেম্বর : মহাকবি সুব্রহ্মণ্য ভারতীর জন্মজয়ন্তীতে তাঁর অমর সাহিত্যকীর্তি ও ভারতের সাংস্কৃতিক-জাতীয় জীবনে তাঁর অনন্য অবদান স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স-এ পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহাকবি সুব্রহ্মণ্য ভারতীকে তাঁর জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা। তাঁর কবিতায় ছিল সাহস জাগানোর শক্তি, তাঁর চিন্তা অসংখ্য মানুষের মনে স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। তিনি ভারতের সাংস্কৃতিক ও জাতীয় চেতনাকে আলোকিত করেছেন। ন্যায়ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের লক্ষ্য নিয়েই তিনি কাজ করেছেন। তামিল সাহিত্য সমৃদ্ধ করায় তাঁর অবদান অতুলনীয়।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ভারতীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁকে আধুনিক তামিল সাহিত্যের স্থপতি হিসেবে বর্ণনা করেন। এক্স-এ শাহ লেখেন, “মহাকবি সুব্রহ্মণ্য ভারতীজিকে প্রণাম। ঔপনিবেশিক সরকারের অত্যাচার উপেক্ষা করে তিনি বিপ্লবের আগুন জ্বালিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনকে তীব্রতর করেছিলেন তাঁর দুর্দমনীয় দেশপ্রেমের কবিতায়। একইসঙ্গে সামাজিক সংস্কারের মাধ্যমে ন্যায়সঙ্গত ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে ভারতীয় সভ্যতার লক্ষ্যকে তিনি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।”
মহাকবি ভারতী নারীশিক্ষা, নারীর অধিকার ও সমাজ জীবনে তাঁদের নেতৃত্বদানের ভূমিকাকে জোরালোভাবে সমর্থন করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, দেশের সামাজিক অগ্রগতিতে নারীর সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। যদিও তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করতেন, তবুও ভারতের সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানো বিদেশিদের তিনি শ্রদ্ধা করতেন—যেমন নিভেদিতা, যিনি কলকাতায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা নিয়েছিলেন এবং তাঁর বিদ্যালয়ে ‘বন্দে মাতরম্’ গানের প্রচলন করেছিলেন।
বিপ্লবী কবি, সাংবাদিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে স্বীকৃত ভারতী আজও ভারতীয় সাহিত্য ও ইতিহাসে এক অনন্য প্রতীক। তাঁর রচনা সাহিত্যজগতে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে, সমাজ সংস্কারে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে এবং ভারতের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।

