তিনসুকিয়া, ১১ ডিসেম্বর : অরুণাচল প্রদেশের অঞ্জাও জেলা, ইন্দো-চীন সীমান্তের কাছাকাছি হায়ুলিয়াং–চাগলাগাম সড়কে একটি বিপর্যয়কর দুর্ঘটনায় ২১ জন আসামি শ্রমিক নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একটি ডাম্পার ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় একটি খাঁজে পড়ে যায়। শ্রমিকরা তিনসুকিয়া জেলার ছাট (পোরাঘর) দিকে যাচ্ছিলেন, যখন গাড়িটি সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে এবং পাহাড়ি ঢাল বেয়ে গড়িয়ে যায়।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানকে অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ধীরগতি বলে নিশ্চিত করেছেন, কারণ সেখানকার ভূগোল অত্যন্ত বিপজ্জনক। অঞ্জাও জেলার ডেপুটি কমিশনার মিল্লো কোজিন নিশ্চিত করেছেন যে, উদ্ধারকারী এনডিআরএফ দলটির কাছে ১৭টি দেহ উদ্ধার করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই, যেগুলি গভীর খাঁজের মধ্যে আটকা পড়ে আছে। কঠিন আবহাওয়া, অস্থিতিশীল মাটি এবং উচ্চতা উদ্ধার কাজকে আরও জটিল করেছে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বর্তমানে উদ্ধার কার্যক্রমে সমন্বয় করছেন। কর্মকর্তারা জানান, আসাম পুলিশ সাথে সমন্বয় করে দেহগুলোর সঠিক পরিচয় ও পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে, যখন উদ্ধার কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।
এখন পর্যন্ত আসামের ১৯ জন মৃত শ্রমিকের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে গুধেশ্বর দীপ (২৩), রাহুল কুমার (২৫), সোমির দীপ (২২), অর্জুন কুমার (২৮), পঙ্কজ মানকি (২০), অজয় মানকি (৩০), অভজয় কুমার (২৬), অভয় ধুরিয়া (২৪), রোহিত মানকি (২০), ধীরেন্দ্র কুমার (২২), আদোর তান্তি (২৪), ধিরেন চরিয়া (২৮), রোজইন নাগ (২১), দীপ গোগালা (২৮), রামসেলোক বুনা (২৬), সামরণ নাগ (২৬), বিনয় কুমার (২৬), করণ কুমার (২৬), এবং জুনাশ মুণ্ডা (২০) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা সবাই সীমান্ত অঞ্চলে রাস্তা নির্মাণ এবং অন্যান্য নির্মাণ কাজের সাথে যুক্ত শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।
উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে, তবে কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে, খাঁজের গভীরতা এবং বিশেষ যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধার প্রক্রিয়া অনেক সময় নিতে পারে। উদ্ধার হওয়া দেহগুলো পরবর্তী শনাক্তকরণ এবং ময়নাতদন্তের জন্য তিনসুকিয়া পাঠানো হবে।
এই ঘটনায় আসামের বিভিন্ন গ্রামে গভীর শোকের সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ অঞ্জাও জেলা প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করে শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং কঠিন উদ্ধার অভিযানের পরিস্থিতি মনিটর করছে।

