এ.জি.এম.সি. অ্যান্ড জি.বি.পি. হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি বিভাগে বাংলাদেশি নাগরিকের সফল পলিপ্যাকটমি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ ডিসেম্বর:
গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবায় আকৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশি নাগরিকের চিকিৎসা গ্রহণের দৃষ্টান্ত অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশের কুমিল্লার কাপ্তান বাজারের বাসিন্দা মোঃ আনোয়ার হোসেনের পুত্র মোঃ সাহাব উদ্দিনের (৩২) বুকে জ্বালা-পোড়া, হজমের অসুবিধা ও পেটব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ ছিল। গত ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তিনি জি.বি.পি. হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ডিপার্টমেন্টে আসেন। সেখানে দেখানোর পর জি.বি.পি. হাসপাতালের এস.এস. ব্লকে গত ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট চিকিৎসক ডা. শুভদীপ পালের পরামর্শে তিনি এন্ডোস্কোপি করতে রাজি হন। এন্ডোস্কোপি রিপোর্টে তার পলিপ ধরা পড়ে। ডা. শুভদীপ পাল অত্যাধুনিক সি.ভি. ১৯০ এন্ডোস্কোপি মেশিনের দ্বারা দক্ষতার “হট স্লেয়ার পলিপ্যাকটমি” করেন। পলিপটি অপসারণের পর কোনও রক্তপাত হয়নি। বর্তমানে রোগী সুস্থ আছেন।

অপারেশনের পর রোগীকে তাৎক্ষণিকভাবে ছুটি দেওয়া হয়। জি.বি.পি.-র এস.এস. ব্লকে পলিপটির চিকিৎসা না করালে তা ভবিষ্যতে ক্যান্সারের রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এই টিমে চিকিৎসক ডা. শুভদীপ পালের সাথে ছিলেন ও.টি. নার্স পাপড়ি ভৌমিক, ও.টি. টেকনিশিয়ান সুমন কুমার শীল এবং সুলভ কর্মী হিসেবে ছিলেন মিনতি চক্রবর্তী ও বিজয়া দত্ত বণিক। লোকাল এনেস্থেসিয়া দিয়ে হয়েছে পেট না কেটেই পলিপ্যাকটোমি করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরকারি খরচে পলিপ্যাকটোমি করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জি.বি.পি. হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডা. শুভদীপ পালকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Leave a Reply