উদয়পুর, ১০ ডিসেম্বর: নাটক সমাজের আয়না। নাটক মানুষের জীবন, সমাজ ও সময়ের বাস্তবতাকে তুলে ধরে। তাই সমাজকে সচেতন করতে এই মাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ উদয়পুর রাজর্ষি হলে ১৫দিন ব্যাপী রাজ্যভিত্তিক নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। তিনি আরও বলেন, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও পরম্পরা একটি জাতির শক্তির প্রতীক। রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া পুতুলনাচ পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, নির্দেশকের সৃজনশৈলী ও পরিকল্পনার ওপর নাটকের সামগ্রিক সাফল্য নির্ভর করে। তিনি আরও বলেন, নাট্যশিল্পের শক্তি মানুষের মধ্যে অনুভূতি জাগায়, প্রশ্ন তোলে এবং সমাজকে ভাবতে শেখায়। কলেজ জীবনের নাট্য অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, নাট্যচর্চা জীবনের মূল্যবোধ শিখতে সাহায্য করে। ত্রিপুরায় ইন্টার অফিস ড্রামার কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আয়োজন থেকে বহু প্রতিভাবান কর্মকর্তা শিল্পী হিসেবে উঠে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় নাট্যচর্চার পরিবেশ আরও প্রসারিত হবে এবং নিউ ত্রিপুরার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক বিকাশ বড় ভূমিকা রাখবে।
অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় অনুষ্ঠানে বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিল্পীদের সম্মেলন রাজ্যের সাংস্কৃতিক পরিসরকে সমৃদ্ধ করেছে। তরুণ নাট্যকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ভবিষ্যতের মঞ্চকে আরও শক্তিশালী করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি উৎসবের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মী, সংগঠন ও নাট্যদলকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, বিধায়ক সঞ্জয় মানিক ত্রিপুরা, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার, রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, নাট্যব্যক্তিত্ব শান্তি মোহন রক্ষিত, সমাজসেবী সবিতা নাগ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। সভাপতিত্ব করেন গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়। দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচি একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়। এবারের নাট্য উৎসবে সারা রাজ্য থেকে ৩৩টি নাট্য দল অংশ নিয়েছে। নাটক চলবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

