রাষ্ট্রীয় হস্তশিল্প পুরস্কার ২০২৩ ও ২০২৪ প্রদান করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

নয়া দিল্লি, ৯ ডিসেম্বর : নয়া দিল্লিতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ২০২৩ ও ২০২৪ সালের জন্য জাতীয় হস্তশিল্প পুরস্কার প্রদান করেন। এই সম্মাননা ভারতের বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ হস্তশিল্প ঐতিহ্য সংরক্ষণে সরকারের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “শিল্প মানুষের মধ্যে এক অদৃশ্য সেতুবন্ধন তৈরি করে। হস্তশিল্প শুধু সংস্কৃতির পরিচয় নয়, গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ভরসাও।” তিনি জানান, দেশের হস্তশিল্প খাতে ৩২ লক্ষেরও বেশি মানুষ কর্মরত, যার বেশিরভাগই গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা।

রাষ্ট্রপতি আরও উল্লেখ করেন যে, এই শিল্পে ৬৮ শতাংশ কর্মীই নারী, ফলে এই খাতের উন্নয়ন নারীশক্তির বিকাশেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তিনি ২০ জন শিল্পীকে পুরস্কৃত হতে দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন।

কাপড় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং জানান, সম্প্রতি হস্তশিল্পে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় শিল্প খাত লাভবান হচ্ছে। তার কথায়, এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় হস্তশিল্পকে “গ্রাম থেকে বৈশ্বিক বাজারে” পৌঁছে দিচ্ছে। সরকার ২০৩১-৩২ সালের মধ্যে এই খাতের রপ্তানি ১ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে।

২০২৩ সালের জন্য শিল্পগুরু পুরস্কার পান পশ্চিমবঙ্গের অজিত কুমার দাস ও আন্ধ্র প্রদেশের ডি. শিবাম্মা। একই বছরে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন ছত্তিশগড়ের হীরাবাই ঝারোকা বাঘেল, উত্তর প্রদেশের ইমতিয়াজ আহমেদ এবং রাজস্থানের রোশন ছিপা। ২০২৪ সালের শিল্পগুরু পুরস্কার লাভ করেন হরিয়ানার সুভাষ অরোরা ও উত্তর প্রদেশের মোহাম্মদ দিলশাদ। জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন তামিলনাড়ুর টি. ভাস্করন, পশ্চিমবঙ্গের রূপবান চিত্রকার এবং মধ্যপ্রদেশের বালদেব বাঘমারে। দুই বছরের জন্য মোট ১২ জন শিল্পী শিল্পগুরু পুরস্কারে এবং ৩৬ জন কারিগর জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন।

Leave a Reply