নয়াদিল্লি, ৯ ডিসেম্বর :
মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস খাতে প্রযুক্তি উন্নয়ন, আধুনিকীকরণ এবং ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কেন্দ্র সরকার আরও গতি আনছে। প্রতিযোগিতা বাড়ানো, দক্ষতা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র শিল্পগুলির হাতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে একাধিক প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে বলে জানিয়েছে এমএসএমই মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এমএসই-ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, টেকনোলজি সেন্টার, গিফট (গ্রীন ইনভেস্টমেন্ট ফাইন্যান্সিং ফর ট্রান্সফরমেশন) স্কিম এবং এবং এমএসএমই চ্যাম্পিয়ন স্কিম–সহ একাধিক কর্মসূচি চালু রয়েছে। এসব প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো আধুনিকীকরণ, গুণগত মান বৃদ্ধি, সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণ এবং ক্ষুদ্র শিল্পের ডিজিটাল দক্ষতা শক্তিশালী করা।
ডিজিটালাইজেশন বাড়াতে উদ্যম রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল, এমএসএমই চ্যাম্পিয়ন্স পোর্টাল, জিইএম (সরকারি ই-মার্কেটপ্লেস), ট্রেডস (ট্রেড রিসিভেবল ডিসকাউন্টিং সিস্টেম), এমএসএমই মার্ট, এমএসএমই সম্বন্ধ এবং অনলাইন বিরোধ সমাধান (ওডিআর) প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে। এসব ডিজিটাল টুল অনলাইন ক্রয়, ই-মার্কেট অ্যাক্সেস, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন, রিসিভেবল ফাইন্যান্সিং এবং গ্রিভ্যান্স সমাধানকে সহজ করে তুলছে।
প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ বিস্তৃত করতে কেন্দ্র ২০টি নতুন টেকনোলজি সেন্টার এবং ১০০টি এক্সটেনশন সেন্টার স্থাপন করছে। অনুমোদিত এসব কেন্দ্রের মধ্যে বিহারের গয়া এবং ঝাড়খণ্ডের বকরো—দুটি ‘অ্যাসপিরেশনাল ডিস্ট্রিক্ট’-এর অন্তর্গত।
এছাড়া ক্ষুদ্র শিল্পের রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে মন্ত্রণালয় তার বিভিন্ন ফিল্ড অফিস, টেকনোলজি সেন্টার এবং টেস্টিং সেন্টারে মোট ৬৫টি এক্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন সেন্টার স্থাপন করেছে, যা রপ্তানিমুখী এমএসএমই–গুলিকে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করবে।
লোকসভায় লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় এমএসএমই প্রতিমন্ত্রী সুশ্রী শোভা করন্দলাজে।

