২০২৩ সালে মথার কাঁধেই ভর করে ক্ষমতায় ফিরেছিল বিজেপি সরকার: তিপরা মথা

আগরতলা, ৯ ডিসেম্বর: ত্রিপুরার রাজনৈতিক মঞ্চে ফের তীব্র সুরে সরব হল তিপরা মথা। ২০১৮ সালে আইপিএফটির কাঁধে ভর করেই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০২৩ সালে মথার কাঁধেই ভর করেই ক্ষমতায় বহাল হতে পেরেছে। তিপরা মথা ছাড়া সরকার সম্ভব নয়, দাবি মথা নেতৃত্বদের।
মঙ্গলবার রাজধানীর চন্দ্র মহলে তিপরা মথার আয়োজিত যোগদান অনুষ্ঠানে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা।

এইদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ২১ পরিবারে মোট ৮৪ জন ভোটার তিপরা মথায় যুক্ত হন প্রতিমন্ত্রীর হাত ধরে। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, যোগদানের মধ্যে রয়েছেন, ছাওমনু মন্ডলের প্রাক্তন সভাপতি মোহন লাল চাকমা, ইন্দ্রজিৎ বণিক, ধনঞ্জয় রিয়াং, প্রেম রঞ্জন চাকমা, রাজেশ চাকমা, দিনেশ দাস। এছাড়া করমছড়া মন্ডলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুমন্ত দে, লালন ত্রিপুরা ডার্লং, প্রসেনজিৎ শিব, রাজকুমার রিয়াং-সহ আরও অনেকে।প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, নবাগতরা আগামী দিনে দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিপরা মথা নেতৃত্বের দাবি, “২০২৩ সালে তিপরা মথা কুড়িটি আসনে প্রার্থী না দিলে বিজেপি আজ ত্রিপুরায় থাকত না। মথার উপর ভর করেই রাজ্যে সরকার টিকে আছে।” তারা অভিযোগ করেন, রাজ্যে রাস্তাঘাট মেরামত নেই, বিদ্যুৎ পরিষেবা দুর্বিসহ, এমজিএনআরইজির কাজ নেই, সাধারণ মানুষ চরম অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছে, সরকার সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করার প্রতিশ্রুতিও ভুলে গেছে।

নেতৃত্বের দাবি, আগামী এডিসি ও বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা থেকে বিজেপি মুছে যাবে। তিপরা মথা নেতৃত্ব স্পষ্ট বলেন “আগামী দিনে ত্রিপুরায় সরকার গঠন করতে হলে তিপরা মথার প্রয়োজন হবেই। লবণ ছাড়া যেমন সবজি রান্না হয় না, তেমনি তিপরা মথা ছাড়া কোনও দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না।” তাদের দাবি, কৃষক, শ্রমজীবী ও কর্মচারী অংশের মানুষের জন্য একমাত্র বিকল্প দল তিপরা মথা।

এদিন একপ্রকার বিজেপির দিকে পাল্টা জবাব ছুঁড়ে দিল মথা। দুই রাজনৈতিক শরিক দলের এই সংঘর্ষের জেরে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

Leave a Reply