তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে এক্স-রে টেকনিশিয়ানের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষোভ, পরিষেবা ব্যাহত

তেলিয়ামুড়া, ৩০ নভেম্বর : মহকুমা হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগে কর্মরত টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মুক্তার হোসেনের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও কর্মসংস্কৃতিহীন আচরণে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে। রোগী পরিষেবায় তাঁর গাফিলতি এবং বারংবার কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ সামনে আসায় হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মুক্তার হোসেন প্রায়ই দেরিতে আসেন বা অনুপস্থিত থাকেন। এমনকি রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং এক্স-রে বিভাগের কাজে অবহেলার ঘটনাও নিত্যদিনের। ফলস্বরূপ বাধ্য হয়ে জিডিএ কর্মী প্রবীণ কুমার জমাতিয়া এক্স-রে বিভাগের দায়িত্ব সামলে রোগীদের পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। দীর্ঘদিন ধরে মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও এখনও পর্যন্ত কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা যায়।

হাসপাতালে পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা হলেও রবিবার মুক্তার হোসেন পৌঁছান প্রায় ১০টা ৩০ মিনিটে। সেই সময় এক মুমূর্ষু রোগীর এক্স-রে করছেন জিডিএ কর্মী প্রবীণ জমাতিয়া। এ বিষয়ে মুক্তার হোসেনের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংএ আগরতলায় থাকা, বাইক নষ্ট হওয়া সহ একাধিক অজুহাত তুলে ধরেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের এম.ও.আই.সি অজিত দেববর্মা জানান, “ছুটি নেওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।” সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করতে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। সৌন্দর্যায়ন থেকে পরিষেবা উন্নয়নে প্রশাসনিক পর্যায়ে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মচারীর আচরণে সেই প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

জনগণের করের টাকায় বেতনপ্রাপ্ত কর্মচারীদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশিত—এমনটাই মত হাসপাতাল সূত্র ও সাধারণ মানুষের। প্রশ্ন উঠছে, একজন জনপ্রতিনিধি যখন নিয়মিত কাজ করে উন্নত পরিষেবা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট, তখন কেন কিছু কর্মচারীর গাফিলতির কারণে আমজনতাকে ভুগতে হবে?