আগরতলা, ২৯ নভেম্বর : আজ কাঞ্চনপুরে এক উল্লেখযোগ্য কৃষি উদ্যোগ প্রত্যক্ষ করা গেল, যেখানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ আলু চাষি জ্যোতির্ময় দাস এবং ধনঞ্জয় দাসের জমিতে গিয়ে এআরসি (অটোমেটিক রিজ কাল্টিভেশন) পদ্ধতিতে আলু রোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সুভাষ নগর এবং ডাইনছড়া ভিলেজ কাউন্সিলের কর্ণজয় পাড়ায় রোপণ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি কৃষক এবং জমির মধ্যে গভীর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন এই পদ্ধতি শুধুই প্রযুক্তি নয়; এটি আলু চাষিদের জন্য এক নতুন সাহসের গল্প। কৃষক সমৃদ্ধ হলে পুরো রাজ্য সমৃদ্ধ হয়। আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট—কৃষকদের আরও শক্তিশালী করা।
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে এই উদ্যোগ কাঞ্চনপুর থেকে করবুক পর্যন্ত গোটা অঞ্চলের আরও বহু চাষিকে অনুপ্রাণিত করবে এবং সবুজ ফসলে ভরা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবে। তিনি জানান মোট ৫৫ জন কৃষক কে এআরসি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে কাঞ্চনপুর এ
মন্ত্রী জানান, বর্তমানে ত্রিপুরায় প্রায় ২৩,৭০০ কৃষক ৪৭,৩৪১ কানি জমিতে আলু চাষ করেন।
তিনি বলেন প্রথাগতভাবে কৃষকেরা প্রতি কানিতে ২,৫০০–৩,০০০ কেজি আলু উৎপাদন করতেন। কিন্তু এআরসি পদ্ধতিতে উৎপাদন বিস্ময়করভাবে বেড়ে প্রতি কানিতে ৯,০০০ থেকে ১০,০০০ কেজিতে পৌঁছেছে।
মন্ত্রী আরও জানান, ২০২৮–২৯ অর্থবছরের মধ্যে ত্রিপুরা বীজ আলু উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে চায় এবং ২০২৯–৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ আলু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্য রয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই উদ্যোগ ত্রিপুরার কৃষি উন্নয়নের এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে এবং আলু উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নেবে।

