অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে খুমুলুঙে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরেজমিনে পরিদর্শন মুখ্যমন্ত্রীর, পরিদর্শনে গেলেন মথার নেতৃত্বগণও

আগরতলা, ২১ নভেম্বর : খুমুলুঙের ঘটনা কোনভাবেই বাঞ্ছনীয় নয়। ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালা যেখানে যেখানে কমিউনিস্টরা রাজত্ব করেছে সেখানে এ ধরনের হিংস্রতা এখনও রয়েছে। খুমলুঙের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় নিজ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা।

মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা আজ খুমলুঙ সফর করেছেন। সফরকালে বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙচুর ও মিতা দেববর্মা বাড়িতে হামলা লুটপাট এর ঘটনা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। গোটা ঘটনা সরজমিনে পরিদর্শন করে তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।

পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা বলেন, খুমলুঙে তিপরা মথা আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা ভারতীয় জনতা পার্টির মণ্ডল কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ এবং মিতা দেববর্মার বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়।কমিউনিস্টদের আমদানি করা রাজনৈতিক সন্ত্রাস ও অগ্নিসংযোগের সংস্কৃতি আমাদের দল ও সরকার কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না। এখনো সময় আছে, এই সহিংস ও গণতন্ত্রবিরোধী পথ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সবারই অধিকার রয়েছে রাজনীতি করার। কিন্তু এ ধরনের হিংস্র রাজনীতি যেন কেউ না করে তারা আহ্বান জানান তিনি। দলীয় কার্যালয় আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া এবং মানুষের বাড়িঘরে ভাঙচুর করার রাজনীতি মানুষ কোনভাবেই গ্রহণ করেনা। ঘটনা সরজমিনে পরিদর্শন করবেন তিনি। পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

শরিক দলের সঙ্গে সংঘর্ষ ইস্যুতে তিনি বলেন, “এখনো সময় রয়েছে, যারাই বিপথে চলছে এটা ঠিক নয়। এ ধরনের রাজনীতি আমরা চাই না। আমি বিহারেও গেছি, এ ধরনের রাজনীতি কোথাও নেই”। তিনি বলেন, এ ধরনের জঙ্গলরাজ জনগণ মেনে নেবেন না। বিহারের মতো জায়গাতেও এ ধরনের রাজনীতি হয় না। জোরজবরদস্তি কেউ যদি কোন জায়গায় টিকে থাকতে চায় সেটি সম্ভব নয়।

এদিকে বিকেল নাগাদ তিপ্রা মথার এক প্রতিনিধি দলও ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী-অনিমেষ দেববর্মা, প্রাক্তন মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া সহ অন্যান্যরা। তারা তিপ্রা মথার ক্ষতিগ্রস্থ দলীয় কার্যালয়ে ঘুরে দেখেন। গোটা ঘটনার জন্য বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শরিক দল। তাদের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই মথা কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।

দীর্ঘদিন ধরেই শরিক দলের এই সংঘর্ষ প্রকাশ্যে আসছে। একে অপরকে দোষারোপের মধ্য দিয়েই দায়িত্ব খালাস করছেন। কিন্তু কোন দলই একে অপরের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা অথবা জোট থেকে সরে আসার বিষয়ে কিছুই বলছেন না। বারবার বিজেপি, মাথার বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিযোগ আনলেও দলীয় তরফে এখনো শরিক দলের বিরুদ্ধে কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।