বেঙ্গালুরু, ২০ নভেম্বর— কর্ণাটক সরকার তার পাঁচ বছরের মেয়াদের অর্ধেক পথ অতিক্রম করতে চলেছে এমন সময় উপমুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বাড়তে থাকা জল্পনা প্রত্যাখ্যান করলেন। সমর্থকদের “পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী” স্লোগানের মধ্যে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়, দলের সিদ্ধান্তই তাঁর কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
শিবকুমার বলেন, “আমি দায়িত্ব থেকে পালাই না। যতদিন কংগ্রেস নেতৃত্ব আমাকে চায়, ততদিন কাজ করে যাব।” প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, তাঁর লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নয়, বরং দলকে শক্তিশালী করা এবং সভাপতি পদে থেকে উদাহরণ স্থাপন করা। তিনি জানান, তাঁর কার্যকালে ১০০টি দলীয় কার্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছেন।
শিবকুমার আরও বলেন, মে ২০২৩-এ উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় তিনি কংগ্রেস সভাপতি পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন, তবে মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল গান্ধী তাঁকে দায়িত্বে থাকার নির্দেশ দেন। তাঁর কথায়, “কেউ স্থায়ী নয়। সুযোগ সবার পাওয়া উচিত। তবে নেতৃত্বের প্রথম সারিতে থাকব এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখব।”
গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। পরে কংগ্রেস শিবকুমারকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়োগ করে। সে সময় ‘রোটেশন ভিত্তিক মুখ্যমন্ত্রী ফর্মুলা’ অনুযায়ী দুই-দেড় বছর পর তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হলেও এখনও এ বিষয়ে কোনও সরকারি নিশ্চিতকরণ নেই।
রাজনৈতিক মহলে সম্ভাব্য ক্ষমতা পরিবর্তনকে ‘নভেম্বর বিপ্লব’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। তবে শিবকুমারের অবস্থান স্পষ্ট—“আমি দায় এড়াই না। যতদিন গান্ধী পরিবার এবং কংগ্রেস সভাপতি চান, ততদিন কাজ করব।”

