সরকারের অপদার্থতা ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার জেরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শান্তিরবাজারের ব্যবসায়ীরা : বিরোধী দলনেতা

আগরতলা, ১৯ নভেম্বর : সরকারের অপদার্থতা ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার জেরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শান্তিরবাজারের ব্যবসায়ীরা। আজ কমলপুর মহকুমা শান্তিরবাজার পরিদর্শনে গিয়ে এমনটাই অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা তথা সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য জিতেন্দ্র চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর তিপরা সিভিল সোসাইটির ডাকা বনধের সমর্থকরা দোকান পাট লুট মারধর করে, গাড়িতে আ*গুন ধরিয়ে দেয়, এবং বহু দোকান ভাঙ*চুর করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাতি জনজাতির বহু ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ। আজ বিরোধী দল নেতা জীতেন চৌধুরী শান্তির বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেন। সাথে ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য সুধন দাস, রাজ্যের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য রতন দাস, রাজ্যের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য রাধা চরন দেববর্মা, ধলাই জেলার পার্টির সম্পাদক অঞ্জন দাস প্রমুখ।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ধলাই জেলার শান্তিরবাজারে সিভিল সোসাইটির ডাকা বন্ধের নামে তিপরা মথা কর্মীরা বাজারে যে তান্ডব চালিয়েছে তাতে ব্যবসায়িকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিজেপির কর্মীরাও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। আসলে বন্ধের আড়ালে বিজেপি ও তিপরা মথা রাজ্যে জাতি জনজাতিদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল। যার ফলস্বরূপ শান্তিরবাজারে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

তাঁর দাবি, বন্ধের দিন শুরুতেই আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। একপ্রকার পিকেটিংদের সর্মথন করেছে প্রশাসন। সরকারের উদাসীনতা এবং প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার কারণেই ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সরকারের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে কিন্তু তা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আসা সম্ভব হবে না। তাই রাজ্য সরকারের কাছে পুনরায় আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।