আগরতলা, ১৯ নভেম্বর: ক্ষুদিরাম বসু ইংরেজি মিডিয়াম বিদ্যালয়ের ৮ বছর বয়সি দীপান্বিতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, স্কুল শিক্ষিকার অমানবিক আচরণ ও নির্যাতনের জেরেই প্রাণ হারিয়েছে ছোট্ট দীপান্বিতা। শোকস্তব্ধ পরিবার বিচার দাবি করেছে।
ঘটনার পর আজ নিহত শিশুটির বাড়িতে যান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরিজনদের অভিযোগ ও ঘটনার বিবরণ মনোযোগ দিয়ে শোনেন তিনি।
এদিন দীপান্বিতার বাড়িতে যান সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্যও। তিনি শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন, পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। পাশাপাশি তিনি জানান, বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক, এবং শিশুর আত্মার সদগতি কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, ক্ষুদিরাম বসু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অবহেলার জেরেই দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া দ্বীপান্বিতা পাল প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি তার পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে ৯ নভেম্বর। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সেদিন স্কুলে একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের প্রচণ্ড রোদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। দ্বীপান্বিতা অসুস্থ অনুভব করে শিক্ষিকাকে জানালেও তাঁর অভিযোগ উপেক্ষা করা হয়। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছোট্ট দ্বীপান্বিতা। চিকিৎসকেরা জানান, সে সান স্ট্রোকের শিকার হয়েছে এবং তার শরীরের একটি অংশ প্যারালাইসিস হয়ে গেছে। টানা চিকিৎসার পরও অবস্থার অবনতি হতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার চিকিত্সাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দ্বীপান্বিতার।
স্থানীয়দের দাবি, শিশুটির মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

